পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একটি কমিটির অনুমোদন করেছে দেশটির মন্ত্রিসভা। ইমরানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা উচিত হবে কি না তা খতিয়ে দেখতে এই কমিটি করা হয়েছে। খবর এনডিটিভি।
গতকাল শুক্রবার (১৬ জুলাই) এই কমিটির অনুমোদন দেয় দেশটির সরকার। তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব সংবাদমাধ্যমকে জানায়, পিটিআই’র নেতা তার ক্ষমতাকালে সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘনের জন্য দোষী কি না, তা বিবেচনা করার জন্য এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন ইমরান খান
দেশটির সংবিধানের সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ মতে, কোনো ব্যক্তি ‘বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোনো অসাংবিধানিক উপায়ে সংবিধান বাতিল বা বিলুপ্ত বা স্থগিত রাখে, অথবা রহিত বা পরিবর্তন বা স্থগিত করার চেষ্টা বা ষড়যন্ত্র করে। তা উচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে গণ্য হবে।’ এই অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পদক্ষেপের বিষয়ে গত ৩ এপ্রিল দেশটির জাতীয় পরিষদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরির বিতর্কিত রায়কে খারিজ করার কারণ ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্ট একটি বিশদ রায় প্রকাশ করার পরে এ সিদ্ধান্ত নিল পাক সরকার।