‘আগামী প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে’

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আগামী প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সব বাঙালীর মধ্যেই সুপ্ত সঙ্গীত প্রতিভা রয়েছে বলেই সঙ্গীত আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি এবং দৈনন্দিন জীবনাচরণে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে।

শনিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে সঙ্গীত ঐক্য বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সঙ্গীতের জাতীয় উৎসব ও সম্মেলন ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন। সঙ্গীত সখ্যে, অভীন্ন লক্ষ্যে প্রতিপাদ্য নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ধরণের আয়োজনের জন্য তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান স্পিকার।

সঙ্গীত ঐক্য বাংলাদেশের মহাসচিব শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সঙ্গীত ঐক্য বাংলাদেশের মহাসচিব ও সিঙ্গার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক কুমার বিশ্বজিৎ, সঙ্গীত ঐক্য বাংলাদেশের মহাসচিব ও মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি নকীব খান এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী, নির্মাতা ও উপস্থাপক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সঙ্গীত শিল্পীরা সাংগঠনিক শক্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে ১৮ দফা দাবি উত্থাপন করেছে, তা সময়োপযোগী। এ দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে সঙ্গীত জগতে কার্যকর পরিবর্তন আসবে।

তিনি বলেন, শিল্পী সম্মানী, রয়্যালটি ও কপিরাইট আইনের মাধ্যমে সঙ্গীতজগৎ ও শিল্পী পরিমণ্ডলের সকলেই উপকৃত হবেন। এ ধরণের আইন ও বিধিবিধানের আধুনিকায়নের জন্য জাতীয় সংসদ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন সুখী, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশে শিল্পীদের দীর্ঘদিনের আরাধ্য শিল্পী সম্মানী বৃদ্ধি, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ও সঙ্গীত একাডেমি গঠনের কাজ এগিয়ে চলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সঙ্গীত ঐক্য বাংলাদেশের এ আয়োজন জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হয়। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সংঙ্গীত জগতে অবদান রেখে যারা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে স্পিকার দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় সঙ্গীতায়োজন উপভোগ করেন।

এ অনুষ্ঠানে দেশের ৪৫ জেলা থেকে ১১৫ জন শিল্পী, সঙ্গীতানুরাগী, বিশিষ্ট সংস্কৃতিজন, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/একেএম