Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডেঙ্গু বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ দেবে ডিএনসিসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুলাই ২০২২ ০৯:১৫

ড্রোন সার্ভে কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম

ঢাকা: ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য বা অভিযোগের পাশাপাশি নগরবাসীকে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার স্থান সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ০১৭৬৯১০০৬৮০, ০১৭১৬৫০৬২৫৮, ০১৭১৫২৩৮৭৫৪, ০১৭১৫৪৫৬৬৯৮, ০১৭৫৬২০৯৪৮২, ০১৭১৬৩৯৮৮৮৬, ০১৭৩৫৮৪৩৬৯৩— এই নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করে নগরবাসীরা ডিএনসিসি কন্ট্রোল রুমে ডেঙ্গু সম্পর্কিত সেবা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি যেকোনো পরামর্শও নিতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

ডিএনসিসি’র গণসংযোগ বিভাগ থেকে গতকাল শনিবার (১৬ জুলাই) এ তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া শহরের বাসা-বাড়ির ছাদ বাগান, ছাদে জমা পানি, চৌবাচ্চা এবং বৃষ্টির পানি বা পরিষ্কার পানি জমতে পারে এ ধরনের স্থান ও পাত্র সার্ভে করা এবং অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও মশার প্রজননক্ষেত্র রয়েছে কি না, সেটি দেখতে অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করছে ডিএনসিসি। অত্যাধুনিক ড্রোন এর সাহায্যে সেগুলো খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রতিটি বাড়ির ছাদে না উঠেই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে মশার উৎস সম্পর্কে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ৩০ জুন সকালে রাজধানীর উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় ড্রোন সার্ভে কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম গত ২ জুলাই থেকে ১১ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন প্রতিটি বাসা বাড়ির ছাদে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেন। বিদ্যমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিবেচনায় ২ জুলাই ২০২২ থেকে শুরু হওয়া অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।

১৬ জুলাই ২০২২ পর্যন্ত চলা এই ড্রোন সার্ভে কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৭ হাজার ৭৮৬টি বাড়ির ছাদ, ১ হাজার ৩৪৩টি ছাদ বাগানে ড্রোন সার্ভে করা হয়। এর মধ্যে ২২৮টি ছাদে জমা পানি পাওয়া যায় এবং ৫টি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা শনাক্ত করা হয়। বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং লার্ভা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাড়ির ছাদে এই ড্রোন সার্ভে চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছে ডিএনসিসি। এছাড়াও ওয়াশার পানির মিটার এবং এ জাতীয় অন্যান্য স্থানে প্রতিমাসে প্রথম সপ্তাহে দানাদার কীটনাশক নোভালুরন প্রয়োগ করা হচ্ছে। মশার প্রজনন স্থান হিসেবে চিহ্নিত সকল নালা, নর্দমা এবং জলাশয়ে নিয়মিত গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে।

এদিকে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়মিত লার্ভিসাইডিং করা হচ্ছে। এছাড়া ভবন মালিক এবং নিমার্ণ শ্রমিকদের জমে থাকা পানিতে কেরোশিন তেল প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনে বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে রিহ্যাব (রিহ্যাব-রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) নেতাদের সঙ্গে ডিএনসিসি’র মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে রিহ্যাবকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান করেন। সভায় রিহ্যাবের পক্ষ থেকে সকল সদস্যদের নির্মাণাধীন ভবনে ব্যবহারের জন্য বিনামূল্যে মশা নিধন কীটনাশক নোভালুরোন ট্যাবলেট বিতরণ করা, প্রতিটি নির্মাণাধীন ভবনে সতর্কতামূলক ও সচেতনতামূলক ছবি সম্বলিত ব্যনার লাগানোসহ সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এছাড়াও নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলে মাইকের সাহায্যে সচেতনতা মূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে এবং সচেতনতা বার্তা সম্বলিত লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হচ্ছে। বাসা বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

ডিএনসিসি ডেঙ্গু বিষয়ে তথ্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর