Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৫০ বছরেও স্বাধীন নিরপেক্ষ ইসি গড়ে ওঠেনি: বাংলাদেশ কংগ্রেস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুলাই ২০২২ ১৭:৩৪

ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস বলেছে, ৫০ বছরেও স্বাধীন নিরপেক্ষ ইসি গড়ে ওঠেনি।

রোববার (১৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে সংলাপে লিখিত প্রস্তাব পেশ করেন দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষে ১২ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলটির সহসভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক মো. তুষার রহমান প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে ইয়ারুল ইসলাম জানায়, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন আজও গড়ে উঠেনি। ফলে দেশের প্রতিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে। ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন’ নামে একটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে এবং সাড়ে তিন বছর অনায়াসেই পার করে দিয়েছে। সাধারণ হিসেবে আর মাত্র দেড় বছর পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে যে পরিবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংঘটিত হয়েছিল, তার সামান্যতম পরিবর্তন হয়নি। সংসদের তথাকথিত বর্তমান বিরোধী দল বা অতীতে ক্ষমতাভোগী বড় কোনো দল সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকারের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করছে না। তারা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বললেও রহস্যজনক কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনোরকম তাগিদ দেখাচ্ছেন না।

বিজ্ঞাপন

অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও বিগত সাড়ে তিন বছরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোও চরম অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে। ফলে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে সাম্প্রতিক নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।

বাংলাদেশ কংগ্রেস’র প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-

১. ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংশোধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান সংক্রান্ত যাবতীয় কার্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জন্ম, মৃত্যু ও বয়সের ভিত্তিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্পন্ন করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সরবরাহকৃত তথ্যানুসারে জাতীয় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে।

২. সকল প্রকার নির্বাচন পরিচালিত হতে হবে নির্বাচন কমিশনের দ্বারা এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে বাধ্য থাকবে। জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা/মহানগর নির্বাচন কর্মকর্তারা এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভা নির্বাচনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা রিটার্নিং অফিসার নিযুক্ত হবেন। নির্বাচনকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত থেকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।

৩. জাতীয় বাজেটের শূন্য দশমিক ০২% নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বরাদ্দ করতে হবে, যা নির্বাচন কমিশন দলগুলোর মধ্যে সমহারে বণ্টন করবে। রাজনৈতিক দলগুলো ওই অর্থ সমাজ কল্যাণমূলক কাজ ও দল পরিচালনায় ব্যয় করবে। যার হিসাব বৎসর শেষে কমিশন বরাবর জমা দিতে হবে।

৪. নির্বাচনে সকল প্রকার প্রচারণা হবে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনা অনুসারে প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত মুদ্রণ ফি গ্রহনপূর্বক নির্বাচন কমিশন সকল প্রার্থীর নাম ও ছবি সম্বলিত পোস্টার মুদ্রণ করে প্রার্থীদের মধ্যে সমসংখ্যক পোস্টার বিতরণ করবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে প্রার্থীরা ওই পোস্টার প্রদর্শন করবেন।

৫. ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) অবস্থান ও পরিচালনায় গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে এবং ভোট দেওয়ার পর প্রতীকসহ মুদ্রিত টোকেন প্রদান পদ্ধতি চালু করতে হবে।

৬. জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস আগে নির্বাচন কমিশন ওই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে এবং তফসিল ঘোষণার পর হতে দেশের বিদ্যমান সরকার ‘নির্বাচনকালীন সরকার’বলে অভিহিত হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত যাবতীয় লোকবল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক মনোনীত একজন নির্বাচন কমিশনারের অধীনে এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বদলির ক্ষমতা এককভাবে আরেকজন নির্বাচন কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত থাকবে।

৭. যেকোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অনুমোদিত বা নিবন্ধিত দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধ সুযোগ দিতে হবে।

ইসির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিকভাবে সংলাপের প্রথমদিন চারটি দলকে আমন্ত্রণ জানালেও একটি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে ইসি। এনডিএম এর পর বেলা সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)‘র সাথে বৈঠক করে ইসি। এরপর সংলাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ কংগ্রেস। দলটি ইসির বৈঠকে অংশ নিয়ে নয়টি প্রস্তাব দিয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

টপ নিউজ নিরপেক্ষ ইসি স্বাধীনতার ৫০ বছর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর