বাংলাদেশে আসার পথে মর্টার শেলবাহী কার্গো বিমান গ্রিসে বিধ্বস্ত
১৭ জুলাই ২০২২ ১৮:৩৭
ঢাকা: বাংলাদেশে আসার পথে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ওই বিমানে সামরিক মর্টার শেল ও প্রশিক্ষণ শেল ছিল। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ সব সরঞ্জামের ক্রেতা বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। শেলগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য আনা হচ্ছিল।
শনিবার দিবাগত রাতে গ্রিসের কাভালা শহরের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। রোববার (১৭ জুলাই) সার্বিয়া কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও বিবিসি।
রয়টার্স জানিয়েছে— ওই কার্গো বিমানে সাড়ে ১১টন সামরিক সরঞ্জাম ছিল। ঢাকায় পৌঁছানোর আগে জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারতে যাত্রা বিরতি নেওয়ার কথা ছিল।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নেবোসা স্টেফ্যানোভিচ বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে— বিধ্বস্ত বিমানটিতে মর্টার শেল এবং প্রশিক্ষণের শেল ছিল। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি সার্বিয়ার কোম্পানি ভ্যালির মালিকানাধীন ছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ভ্যালি কোম্পানিটি সামরিক সরঞ্জাম এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা পণ্যের বৈদেশিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য নিবন্ধিত একটি বাণিজ্যিক সংস্থা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর তথা ডিজিডিপি ক্রয় চুক্তির আওতায় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামগুলো আনা হচ্ছিল।
এদিকে গ্রিসের কর্তৃপক্ষের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ওই বিমানটিতে ইউক্রেনের আটজন ক্রু ছিলেন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে তাদের কেউই আর বেঁচে নেই।
গ্রিসের স্থানীয় প্রশাসন বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটি তদন্ত করছে।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজসা স্টেফানোভিচ বলেন, ‘আন্তোনভ অ্যান-১২ নামে কার্গো উড়োজাহাজটি প্রায় ১১ টন অস্ত্র ও মাইন নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।’
রয়টার্স জানিয়েছে— কার্গো বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই আশেপাশে ব্যাপকমাত্রায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। বিধ্বস্ত এলাকার আশেপাশের বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদের যথাসম্ভব নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, ঘটনাস্থল নিরাপদ বিবেচিত না হওয়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা ও গ্রিক অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের কর্মীরা সেখানে যেতে পারছেন না।
নর্দার্ন গ্রিস ফায়ার ব্রিগেডের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মারিওস অ্যাপোস্টোলিডিস জানিয়েছেন, ঘটনার সময়কার বাতাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। বাতাসে তেমন ক্ষতিকর কোনো উপাদানের অস্তিত্ব মেলেনি। তবুও ঘটনাস্থল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/একে
আইএসপিআর গ্রিস প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রশিক্ষণ সেল বিমান মর্টার শেল