Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢামেকে ফেলে যাওয়া নারী ‘প্রেমিকের হাতে হত্যার শিকার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ জুলাই ২০২২ ২২:০৭

ঢাকা: পরিচয় মিলেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ফেলে যাওয়া সেই নারীর মৃতদেহের। রোকসানা নামের ওই নারীর স্বজনরা সোমবার (১৮জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এসে তার লাশ শনাক্ত করে। স্বজনদের অভিযোগ, প্রেমিক মনির ও তার পরিবারের লোকজন রোকসানাকে হত্যা করেছে।

হাসপাতালে রোকসানার চাচাতো ভাই মো. শহিদুল্লাহ জানান, রোকসানা সোনারগাঁওয়ের বাইশটেক এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকতেন। শুভ (১৬) নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তার। স্বামী শফি মিয়ার সাথে তিন বছর আগে তার তালাক হয়ে যায়। এর পর থেকে বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। বাড়িতেই জামদানি শাড়ির কাজ করতেন।

বিজ্ঞাপন

শহিদুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘মনির নামে এক ব্যক্তির সাথে রোকসানার পাঁচ বছর ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। বিভিন্ন সময় রোকসানা তাকে টাকা-পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করতো। মূলত মনিরের কারণেই স্বামীকে তালাক দিয়েছেন রোকসানা। এর পর মনিরকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তবে মনির তাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না।’

আরও পড়ুন: ঢামেকে নারীর মৃতদেহ ফেলে পালালো ২ ব্যক্তি

শহিদুল্লাহ বলেন, ‘সোমবার সকালে রোকসানা একই গ্রামে মনিরের ওই বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে বিয়ের দাবি তোলেন। তখন মনির, মনিরের ছেলে ও ভাইসহ পাঁচ/ছয় জন মিলে তাকে রড ও লোহার পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যান স্বজনরা। সেখানে কোনো সমাধান না পেয়ে সোনারগাঁও থানাধীন তালতলা পুলিশ ফাঁড়িতে যান। ফাঁড়িতে করার পর পুলিশসহ বেলা দুইটার দিকে মনিরের বাড়িতে গিয়ে সব ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। বাড়িতে কোনো লোকজন পাওয়া যায় না। এমনকি সেখানে রোকসানাকেও পাওয়া যায়নি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালেও তাকে খোঁজা হয়। এক পর্যায়ে ঢামেকের জরুরি বিভাগে এসে রোকসানার মৃতদেহ দেখতে পান। পরিবারের অভিযোগ, মনির ও তার পরিবারের লোকজন পিটিয়ে মেরে ফেলেছে রোকসানাকে। আর তার মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বেলা পৌনে ৩টার দিকে দুই ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর টিকিট কেটে মেডিকেল অফিসারকে দেখান। সঙ্গে সঙ্গে তার ইসিজি পরীক্ষার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর পরই সবার অগোচরে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন তারা।

বাচ্চু মিয়া আরও জানান, ওই নারীর থুতনি, পাসহ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ রয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা লোকজন চিকিৎসককে তখন জানিয়েছিলেন, কীটনাশক পান করেছেন ওই নারী। তবে চিকিৎসক যখন তাকে মৃত ঘোষণা করেন এর পর সবাই পালিয়ে যায়।

সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম

রোকসানা হত্যার শিকার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর