মঙ্গলবার করোনা ভ্যাকসিনের ২য় ও বুস্টার ডোজ পাবেন ৭৫ লাখ মানুষ
১৮ জুলাই ২০২২ ১৮:১৮
ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিশেষ ক্যাম্পেইনের আওতায় ৭৫ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের দ্বিতীয় ডোজ এবং দুই ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশকে প্রথম ডোজ, ৭০ দশমিক ৩ শতাংশকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ১৭ দশমিক ৯ শতাংশকে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। বুস্টার ডোজের হার তুলনামূলকভাবে কম থাকায় মঙ্গলবারের ক্যাম্পেইন গুরুত্ব দিয়ে আয়োজন করা হয়েছে।
দেশে ভ্যাকসিনের মজুত পর্যাপ্ত রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে পাঁচ ধরনের করোনা ভ্যাকসিন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন ও জনসনের ভ্যাকসিন। পাঁচ কোম্পানির মোট প্রায় ২ কোটি ৭৮ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনের মজুত রয়েছে দেশে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলার ওয়ার্ড পর্যায়েও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। একদিনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে তৈরি করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৮১টি কেন্দ্র। ক্যাম্পেইনে একযোগে ৩৩ হাজার ২৪৬ জন ভ্যাকসিনকর্মী ও ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের দ্বিতীয় ডোজ করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে, তারা তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। আর প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় পার হলেও যারা দ্বিতীয় ডোজ নেননি, ১৮ বছরের বেশি বয়সী এমন সবাই দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নিতে পারবেন মঙ্গলবারের ক্যাম্পেইনে।
শিশুদের করোনা ভ্যাকসিন দিতে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদেরও ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হবে। এরই মধ্যে প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। বর্তমানে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য বয়সসীমার জনগোষ্ঠীর মতোই ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদেরও সুরক্ষা ওয়েবপোর্টালে নিবন্ধনের মাধ্যমে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সুরক্ষায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিশুদের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বরের প্রয়োজন হবে। তাই অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, শিশুর ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন করুন।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর
করোনা ভ্যাকসিন জাহিদ মালেক ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন স্বাস্থ্যমন্ত্রী