‘আমি নির্দোষ, কিন্তু দেশবাসী জানল অপরাধী’
১৯ জুলাই ২০২২ ১৪:৩৬
ঢাকা: জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের মামলার পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে দুপুরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আদালত প্রাঙ্গণে ডা. সাবরিনা চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘একদিন প্রমাণ হবে সাবরিনা নির্দোষ। আমি নির্দোষ, কিন্তু দেশবাসী জানল আমি অপরাধী। শুধু এটুকুই বলব- আল্লাহ একদিন এর বিচার করবেন।’
এ সময় তার এক আইনজীবী বলেন, ‘বের হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।’ তখন সাবরিনা বলেন, ‘আমি তো সেদিনই মরে গেছি। যেদিন আমাকে এখানে ঢুকানো হয়েছে। আমি বের হব কি না সেটা বড় কথা না। বড় কথা হলো দেশবাসী জানল আমি অপরাধী।’
এদিন ৮ টার দিকে সাবরিনাসহ অন্যান্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে আসামিদের এজলাসে তোলা হয়। সাড়ে ১২ টায় ঘোষণা শুরু হয়। রায় পড়া শুরু হলে তিনি উঠে দাঁড়ান। রায় ঘোষণা সময় তাকে স্বাভাবিকই দেখা যায়। রায় পড়া শেষে তাকে কিছুটা বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। এ সময় আইনজীবী এবং তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সাজাপ্রাপ্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন— সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস।
সারাবাংলা/এআই/এনএস