মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদন এক তরফা: তথ্যমন্ত্রী
২২ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:৫৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটা সম্পূর্ণ একতরফা। একটি দেশের রাজনৈতিক,সামাজিক ও অর্থনৈতিক রির্পোট প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারও মতামত না নেওয়াটা কুটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। সে কারণে আমরা এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করলাম।
রোববার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সাচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয় নিজ দফতরে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন দুটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য উপস্থাপ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটিই হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও)। এর মধ্যে রয়েছে বিতর্কিত এনজিও ‘অধিকার’ তাদের দেওয়া তথ্যে কোন ভিত্তি নেই। তারা হেফাজতের আন্দোলনের সময় নানা মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল। যা পরে প্রমাণ হয়েছে।
তিনি বলেন, সভা সমিতি নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই সভা সমিতি করতে হলে অনুমতির প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে এই প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই আছে। ফলে সভা সমাবেশ করা যাচ্ছে না এটা বলা যাবে না। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোন ধরনের বিচার বর্হিভুত হত্যাকাণ্ডের অনুমতি দেয়া হয় না।
প্রতিবেদনে এস কে সিনহার বিষয়ে বলা হয়। এস কে সিনহা নিজেই নিজের কাজের জন্য বির্তকিত হয়েছেন। আর বিচারকরা ঘুষ খান এমন অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিচারপতিদের বিরুদ্ধেও আছে। ইনু বলেন, আমি আবারও বলছি আমরা এই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করলাম।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ও বাক স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বেগ জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য সীমাবদ্ধতা ছিল এমন উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কংগ্রেশনাল-ম্যান্ডেটেড হিউম্যান রাইটস রিপোর্টে এ উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমে স্বাধীনতাসহ সংবিধানে বাক স্বাধীনতার অধিকার দেয়া হয়েছে কিন্তু সরকার অনেক সময় এ অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ব্যর্থ হয়।
সারাবাংলা/এইচএ/এমএইচ