Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রতিবন্ধী শিশুকে হত্যার দায়ে চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুলাই ২০২২ ২৩:৫৩

ছবি: প্রতিকী

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রতিবন্ধী এক শিশুকে হত্যার দায়ে চাচাসহ দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— বেলকুচি উপজেলার ছোট বেড়া খারুয়া গ্রামের নিহত শিশুর চাচা সাদ্দাম হোসেন (৩৩) ও একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আকবর আলী (৪৪)।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল রহমান জানান, পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছিল, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য সাদ্দাম হোসেন ইউপি সদস্য আকবর আলীর প্ররোচনায় আপন ভাতিজি চায়না খাতুনকে হত্যা করেন। পরে পুলিশ সাদ্দাম হোসেন ও আকবর আলীকে গ্রেফতার করে। তারা দু’জনে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে আদালত অভিযুক্ত দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেলকুচি উপজেলার ছোট বেড়া খারুয়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের পরিবারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাইদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সাদ্দম হোসেন চাচাতো ভাইদের শায়েস্তা করার জন্য আপন বড় ভাইয়ের বাকপ্রতিবন্ধী শিশু চায়না খাতুনকে (১১) হত্যার পরিকল্পনা করে। তার এই কাজে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর আলী।

এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে চায়না খাতুন সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতে খাওয়ার পর চায়না ঘুমায়ে পড়ে। রাতে সাদ্দাম হোসেন চায়নাকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ির বাইরে নিয়ে গলা টিপে হত্যা করে। পরে লাশ বেড়া খারুয়া চরে নিয়ে যায়। চায়নার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য চাকু দিয়ে গলা কেটে ফেলে রেখে চলে যান।

জানা যায়, পরদিন সকালে বেড়া খারুয়া চরে চায়না খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে চায়না খাতুনের বাবা জহুরুল প্রামানিক ঘটনাস্থলে যান। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মেয়েকে হত্যার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরে প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রায় সাড়ে চার বছর পর সে মামলার রায় ঘোষণা হলো।

সারাবাংলা/টিআর

চাচার যাবজ্জীবন প্রতিবন্ধী শিশুকে হত্যা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর