খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ বিএবি’র
২০ জুলাই ২০২২ ১৮:৪৭
ঢাকা: ঋণ পুনঃতফসিলের বিষয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।
বুধবার (২০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান বিএবি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার।
বিএবি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ঋণ পুনঃতফসিলের দায়িত্ব ব্যাংকের ওপর দিয়েছেন। এটি যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। এই দায়িত্ব ব্যাংকের হাতে দিয়ে দেওয়ার ফলে আমাদের পরিশ্রম অনেক কমে যাবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের রিকভারিও বেড়ে যাবে। এখন যার যার ব্যাংক, সে সে কন্ট্রোল করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে আর তাকিয়ে থাকতে হবে না। ব্যাংক নিজেই ঋণ পুনঃতফসিল করবে।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে সবার মঙ্গল হবে। আমরা যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।
এর আগে, আবদুর রউফ তালুকদার নতুন গর্ভনর হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার ৫ কার্যদিবস পর গত ১৮ জুলাই ঋণখেলাপিদের জন্য ‘বড় ছাড়’ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, মাত্র আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ পাবেন ঋণখেলাপিরা, যা আগে ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ। এসব ঋণ ৫ থেকে ৮ বছরের মধ্যে পরিশোধ করা হলেও খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। আগে এ ধরনের ঋণ পরিশোধে সর্বোচ্চ সীমা ছিল দুই বছর।
বিএবি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সার্কুলারের ফলে ব্যাংকের জবাবদিহিতা বাড়বে। যারা এই সার্কুলার অমান্য করবে, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এটাকেও আমরা স্বাগত জানাই।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে একজন নতুন গভর্নর এসেছেন। আমরা দীর্ঘদিন থেকে তাকে চিনি। আমরা নতুন গভর্নরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য এসেছি।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঋণ পুনঃতফসিলের যে ফাইল আগে আসত, সেগুলো এখন আর বাংলাদেশ ব্যাংকে আসবে না। ফাইল এলে সিদ্ধান্ত দিতে অনেক সময় লাগত। ব্যাংক নিজেরা সেটা করতে পারবে। এ সিদ্ধান্তকে বিএবি সাধুবাদ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, সৌজন্য সাক্ষাতে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংকে আমানত ও ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৬ ও ৯ শতাংশ বেধে দিয়ে যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল, সেটি পর্যালোচনার অনুরোধ ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ব্যাংকাররা বলেছেন, শিল্প, উৎপাদনশীল খাত ও রফতানি সংশ্লিষ্ট খাতের ঋণে ৯ শতাংশ সুদ ঠিকই আছে। তবে বিলাসজাত পণ্যে ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ সুদের সীমা বাড়ানো যায় কি না, সেটি বিবেচনা করা যেতে পারে। সুদহারের ক্ষেত্রে বিএবি যে প্রস্তাব দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটি পর্যালোচনা করবে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর
ঋণ পুনঃতফসিল খেলাপি ঋণ নজরুল ইসলাম মজুমদার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস বিএবি