হালদায় ফের ডলফিন ‘হত্যা’
২০ জুলাই ২০২২ ২১:০৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে হালদা নদী থেকে মৃত অবস্থায় আরও একটি ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। ডলফিনটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হালদা গবেষকরা।
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় মৃত ডলফিনটি ভেসে আসার পর সেটি উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির কর্মকর্তাদের নির্দেশে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ঘটনাস্থলে যান।
ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘মৃত ডলফিনটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে সাত ফুট। ডলফিনটির ঠোঁটের নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। দাঁতগুলো ছেটে ফেলা হয়েছে। এতে আমাদের নিশ্চিত হয়েছি যে ডলফিনটিকে হত্যা করা হয়েছে। সম্ভবত জালে আটকা পড়েছিল। জাল বাঁচানোর জন্য ডলফিনটির ঠোঁট ও দাঁত কেটে ফেলা হয়।’
এ পর্যন্ত হালদা নদী ও শাখা খাল মিলিয়ে ৩৭টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মনজুরুল কিবরিয়া।
গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনের বিচরণ আছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে। ২০১৭ সাল থেকে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ডলফিন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন গবেষকরা। তখন থেকে হালদা ও কর্ণফুলীতে মৃত ডলফিনের সংখ্যা গণনা শুরু হয়।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। আরও ১০টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায় ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। আর ২০২১ সালে মোট ৫টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। চলতি বছরে চারটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে এ পর্যন্ত দুইটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।
কর্ণফুলী ও হালদা নদীপাড়ের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা শুশুক নামে অভিহিত করে থাকেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর