পোশাক শিল্পের রূপকল্প বাস্তবায়নে আইএমএফের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
২০ জুলাই ২০২২ ২১:২৭
ঢাকা: পোশাক শিল্পের কৌশলগত রূপকল্প বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তা চেয়েছে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বাংলাদেশে আইএমএফ মিশন চিফ রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বুধবার (২০ জুলাই) গুলশানে বিজিএমইএ পিআর অফিসে সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
আইএমএফ প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা আবাসিক প্রতিনিধি জায়েন্দু দে এবং সিনিয়র অর্থনীতিবিদ রিতু বসু ও এস্টেল জুয়ি লিউ। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহসভাপতি মিরান আলী ও রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক আসিফ আশরাফ ও ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন মিশন সেলের চেয়াম্যান শামস মাহমুদ।
দুই পক্ষের সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, শিল্পের সুযোগ, ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে শিল্পের কৌশলসহ পোশাক শিল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর শুল্ক কাঠামোয় পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব এবং বাজার প্রবেশাধিকার প্রভৃতি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয় এসময়।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আইএমএফ প্রতিনিধি দলকে বিজিএমইএ’র নতুন নাইন ডট লোগোসহ নতুন রূপকল্প সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, বিজিএমইএ তার টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ নির্ধারণ করেছে। এর লক্ষ্য টেকসই এবং অর্থনীতি, পরিবেশ ও জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি অর্জন।
বিজিএমইএ সম্প্রতি টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ উন্মোচন করেছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধিকে এমনভাবে তরান্বিত করা, যা টেকসই এবং অর্থনীতি, পরিবেশ এবং জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ অনুযায়ী সংস্থাটির নির্ধারণ করা লক্ষ্যমাত্রায় শতভাগ লিঙ্গ সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে এই সময়ের মধ্যে পোশাক খাতে ৬০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানির লক্ষ্য রয়েছে।
ফারুক হাসান পোশাক শিল্পের রূপকল্প বাস্তবায়নে আইএমএফের সহায়তা চান, যা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর