প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতি: ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
২১ জুলাই ২০২২ ১৫:৪৮
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মমিনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর সাত আসামি হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. শাহজাহান, মো. ফরহাদ হোসেন ওরফে মোরশেদ আলম, ফাতেমা খাতুন, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. রুবেল, এম আবদুস সামাদ আজাদ ও রবিউল আউয়াল।
আসামিদের মধ্যে আবদুস সামাদ আজাদ ও রবিউল আউয়াল পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতাী পরোয়ানা জারি করেছেন। এছাড়াও গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩১ আগস্ট তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
জালিয়াতির এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৫ মে তরিকুল, ফাতেমা ও ফরহাদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরই ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। কিন্তু মামলার অপরাধের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা ও ধারা দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় আদালত তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন।
২০২২ সালের ১৮ মে দুদকের পরিচালক ফরিদ উদ্দিন মো. শাহজাহানসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন করে দেন। এরপরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে ছাত্রলীগের নেতা তরিকুলকে জানান।
চার্জশিটে বলা হয়, নথিটিতে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন। আসামিরা গত ৩ মার্চ তারিখে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায়।
সারাবাংলা/এআই/এনএস