চবিতে শিক্ষার্থী হেনস্তা—আন্দোলনকারীদের সংহতি ছাত্র ইউনিয়নের
২১ জুলাই ২০২২ ২১:১২
ঢাকা: এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও মারধরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ)। এ ছাড়া নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে যথোপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সংগঠনটির সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের সই করা বিবৃতিতে এ সংহতি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, একটি বিশ্ববিদ্যালয় অঞ্চলে একজন নারী শিক্ষার্থীকে নিপীড়নের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে ভিকটিম শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুকে ‘চুপ থাকার’ পরামর্শ প্রদান প্রশাসনের অবহেলিত আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। যা এ ধরনের ঘটনাগুলোকে আরও উৎসাহিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়— একজন শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়ার পরও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসহযোগিতামূলক আচরণ লক্ষ করা যায়। যা তাদের প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং সদিচ্ছার অভাব।
এ ছাড়া আরও বলা হয়, সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও একাধিকবার নারীর প্রতি বিরূপ আচরণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে ওই ঘটনাগুলোর কোনও সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। যার ফলে দিনে দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ ঘটনাগুলো ঘটেই চলছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যাপারে প্রশাসনকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই রাত ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রীতিলতা হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন যাওয়ার পথে সঙ্গীত বিভাগের এক শিক্ষার্থী ও তার সঙ্গে দেখা করতে আসা চীনের ইয়াংজু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বন্ধুকে মারধর, ছিনতাই, শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও তার ভিডিও ধারণ এবং পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
সারাবাংলা/আরআইআর/একে