Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘১০ হাজার লোকের স্বাস্থ্যসেবায় রয়েছে ১০ থেকে ১৫ জন চিকিৎসক’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২২ জুলাই ২০২২ ০০:০৭

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। দেশের ১৬ কোটি লোকের স্বাস্থ্য সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। প্রতি ১০ হাজার লোকের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। আমাদের পাশের দেশেও এই জনবল ২৫ থেকে ৩০ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাহিদা আরও বেশি। চাহিদার তুলনায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসক কম।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবার কল্যাণ অধিদফতরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘৮০০ কোটির পৃথিবী: সকলের সুযোগ, পছন্দ ও অধিকার নিশ্চিত করে প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়ি।’

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিবছর দেশে ৩০ লাখ শিশুর জন্ম হয়। ২০ লাখ নতুন লোক কর্মসংস্থানে যোগ দেয়। এই ২০ লাখ মানুষকে সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হয়। এটি অত্যন্ত কঠিন। জনসংখা যদি প্রতিনিয়ত বেড়েই যায়, তাহলে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটি, যা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে। পৃথিবীর ধারণক্ষমতা এক হাজার থেকে ১২০০ কোটির বেশি নয়। বাংলাদেশের জনসংখা সাড়ে ১৬ কোটি। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটার ১২০০ জন লোক বাস করে। জনসংখা বৃদ্ধির দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের জনসংখ্যা একটি সঠিক মাত্রায় রাখতে হবে। সম্পদের সঙ্গে জনসংখ্যার সামঞ্জস্য রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর যে সম্পদ আছে, তা সবাই যেন সমানভাবে পায় এবং ভবিষ্যৎ যেন সুরক্ষিত হয়— এটাই এবারের বিশ্ব জনসংখা দিবসের প্রতিপাদ্য। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি লোকের জন্য আমাদের স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য, চিকিৎসা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব আমরা এসব সুবিধা বৃদ্ধি করে যাচ্ছি। কিন্তু সব কিছুরই একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের যে জনসংখ্যা আছে তাদের সবার জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু যদি জনসংখ্যা বাড়তে থাকে, তাহলে সম্ভব নয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, জনসংখ্যা অবশ্যই সম্পদ। তবে কোয়ালিটি জনসংখ্যা প্রয়োজন। তাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। শেষ পর্যায়ে কর্মেরও ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের শিল্প বাড়ছে, তার চেয়ে জনসংখ্যা আরও বেশি বাড়ছে। এসমসয় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর দেন তিনি। বলেন, জনসংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকলে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে  স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরিকল্পিত পরিবার গড়তে পারলে জনসংখ্যা বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু। সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোকাস এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

জনসংখ্যা দিবস জাহিদ মালেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর