ঢাকা: যুদ্ধরত দুই দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়া খাদ্যশস্য রফতানির জন্য কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো খুলে দিতে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। শুক্রবার (২২ জুলাই) দুই পক্ষ এ ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর গুরুত্বপূর্ণ এসব বন্দর বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবে বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর পর এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এটি প্রথম কোনো বড় চুক্তি হতে যাচ্ছে। চুক্তিতে মধ্যস্থতা করছে তুরস্ক ও জাতিসংঘ। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোগানের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর করবেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও ভাষণে এ চুক্তি স্বাক্ষরের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো শিগগিরই খুলে দেওয়া যেতে পারে। তবে আসন্ন চুক্তির সম্পূর্ণ বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। জাতিসংঘের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আন্তোনিও গুতেরেস তুরস্কে যাচ্ছেন। শুক্রবার চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এরদোগানের কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
তুরস্কের গণমাধ্যম টিআরটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে এ ব্যাপারে বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠকে একটি অস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন তারা। কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে জাহাজ ছেড়ে যাওয়া এবং বন্দরে পৌঁছানোর জন্য যৌথ নিয়ন্ত্রিত এবং স্থানান্তর রুটের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে রাজি হয়েছিল দুই পক্ষ। জাহাজ চলাচলের জন্য ইস্তাম্বুলে একটি সমন্বয় কেন্দ্র তৈরি করা হবে বলেও প্রস্তাব রয়েছে। এ সমন্বয় কেন্দ্রে জাতিসংঘ, তুর্কি, ইউক্রেনীয় এবং রুশ প্রতিনিধিরা থাকবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর দুই দেশের চুক্তিতে মধ্যস্থতার জন্য তুরস্কের ভূয়সী প্রশংসা করেছে।