Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চবিতে আন্দোলন চলবে

চবি করেসপন্ডেন্ট
২৩ জুলাই ২০২২ ১৭:২১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রী লাঞ্চিত ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে র‌্যাব। তারপরও তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৩ জুলাই) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ সব খবর জানান তারা। ভুক্তভোগীর কোনো বয়ান তাদের সামনে আসেনি। তাই তাদের আশঙ্কা এখনো দূর হয়নি বলেও জানান তারা।

শিক্ষার্থীদর যে চারটি দাবি— প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি, যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের চলমান বাকি কেইসগুলোর বিচার, যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের গঠনতন্ত্র সর্বোচ্চ সময়সীমা একমাস বেঁধে দেওয়া, মেয়েদের হল এবং মেডিকেল সেন্টারে সময়সীমার নির্দেশনা তুলে নেওয়া।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চবি সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফি নিতু বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারীরা এখনও চার দাবিতে অটল আছি। এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এ রজন্য আমরা আনন্দিত। তবে এখনও এই চারজন যে মূল আসামি তার কোনো প্রমাণ বা ভুক্তভোগীর কোনো বয়ান আমাদের সামনে আসেনি। তাই আমাদের আশঙ্কা এখনও দূর হয়নি।’

আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী ফারহানা আক্তার আইয়ুশি বলেন, ‘ভুক্তভোগী থেকে এখনও বয়ান দেয়নি। আমরা তাই শাস্তির জন্য অপেক্ষা করছি যে, ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের আজীবন বহিষ্কার ও আইনানুগ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের আরও তিনটা দাবি বাকি আছে। সেগুলোও পূরণ করতে হবে। এছাড়াও যৌন নিপীড়ন সেলে যে কেইসগুলো রয়েছে সেগুলোর বিচার করতে হবে। আমাদের এই দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীণ আখতার বলেন, ‘যেই ঘটনা ঘটেছে খুবই দুঃখজনক। ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এখানে প্রক্টরিয়াল বডি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ একযোগে কাজ করছেন। যাদের আটক করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের আজীবন বহিষ্কার করা হবে।’

গত রোববার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল এলাকায় এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের পর আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে এই বিষয়ে অভিযোগ দিতে গেলে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাধা দেন বলেও অভিযোগ এসেছে।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।

পরে বুধবার ( ২০ জুলাই) ভুক্তভোগী ছাত্রী বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত আসামির নামে একটি মামলা করেন। এদিকে বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এই ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।

সর্বশেষ শুক্রবার (২২ জুলাই) ছয়জনকে শনাক্ত করেছে র‌্যাব। এদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুইজনকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শনাক্ত ছয়জনের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ঘটনার নেতৃত্বদাতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. আজিম (২৩) চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/সিসি/একে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবি টপ নিউজ র‍্যাব

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর