‘পিএম অফিস ঘেরাও করতে এলেও বিএনপিকে বাধা দেবে না পুলিশ’
২৩ জুলাই ২০২২ ১৮:৩৬
ঢাকা: বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি তো বলে দিয়েছি- তারা যদি প্রাইম মিনিস্টার অফিসও ঘেরাও করতে আসে পুলিশ তাদের যেন বাধা না দেয়। বিশেষ করে বাংলা মোটরে বাধা দেওয়া, এটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না, হেঁটে হেঁটে যতদূর আসতে পারে কোনো আপত্তি নেই। আমি চা খাওয়াব, বসাব, কথা বলতে চাইলে শুনব। কারণ, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তবে যদি বোমাবাজি করে, ভাংচুর করে- বাধা দেব। সেটা করলে উপযুক্ত জবাব পাবে।
শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সঙ্গে এই যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরি থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যে সেন্সাস রিপোর্টটা হয়ে গেছে তাতে কিন্তু জনসংখ্যা খুব বেশি বাড়ে নাই। বর্তমানে ১৬ কোটি ৫০ লাখ প্লাস। আরও সামান্য কিছু বাড়বে। কারণ বন্যা কবলিত এলাকায় গণনা হবে। কেউ আমাদের জনসংখ্যা ১৮ কোটি বলে, কেউ বলে ১৭ কোটি। আমাদের কিন্তু এত জনসংখ্যা নেই। এই মানুষগুলোকে আমরা খাবারও দিতে পারব। সব ব্যবস্থাই করতে পারব। অন্তত সেইটুকু সক্ষমতা আমর অর্জন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন আছে তখন জনগণ পাবে। লুটেরারা এলে কী করবে আমি জানি না। যারা মুচলেকা দিয়ে দেশে ছেড়ে এখন অর্থ পাচারকারীর দল। আপনারা বিএনপিকে জিজ্ঞেস করেন, তাদের নেতা কে? তারা ইলেকশনে যেয়ে, ক্ষমতায় গিয়ে কাকে বসাবে? এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারী, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী, হত্যাকারী, খুনি, এরাই তো তাদের নেতা।’
বিএনপি’র গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, কারও না কারও তো কথা বলা উচিত। কথা যত পারে বলুক। যদিও সারাদিন কথা বলার পরও বলবে, আমাদের কথা বলতে দেয়নি। তারা মিটিং করলে লোক আসে না। আর বলে কি না আমরা লোক আসতে দিই না। এই হলো অভিযোগ। তাদের কাছে মানুষ কেন আসবে?’
সামনে আবারও বন্যা আসতে পারে। তার জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কাজ আমরা করে যাব। কারণ দেশের উন্নয়নই আামদের লক্ষ্য। সেই উন্নয়নের কাজটাই আমরা করব এবং করে যাচ্ছি। আমরা এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সেটা ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যেহেতু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সারাবিশ্বব্যাপী সমস্যা ভোগ করছে, সেহেতু আমাদের কৃচ্ছ্বতা সাধন করতে হবে। সেইসঙ্গে নিজের সঞ্চয় বাড়াতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের আসন্ন শোকাবহ আগস্ট মাসব্যাপী কর্মসূচিগুলো উপস্থাপন করেন তিনি। পরে আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে বাকি কর্মসূচিগুলো চূড়ান্ত করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদকব ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও ঢাকা মহানগর ও সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম