৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের সাগরে ছুটছেন জেলেরা
২৪ জুলাই ২০২২ ০৯:১৩
কক্সবাজার: মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরতে ফের সাগরে ছুটছেন জেলেরা। এতে খুশি মৎস্য সম্পদের সঙ্গে জড়িত দুই লক্ষাধিক মানুষ। বঙ্গোপসাগরে টানা ৬৫ দিনের মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে শনিবার রাত ১২টায়।
প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগর-নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই সময় কক্সবাজারের প্রায় ৮০ হাজার জেলে সাগর-নদীতে মাছ ধরতে যাননি। এসময় অসহায় জেলেদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে দেওয়া হয়েছে ত্রাণ সহায়তা। অবশেষে ৬৫ দিন পর জেলেদের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত দিনটি ফিরে আসায় আনন্দিত জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী ও বোট মালিকরা।
ফিসারিঘাটের জেলে লিয়াকত মিয়া জানান, জেলা প্রশাসকের ত্রাণ সহায়তা পেলেও দীর্ঘদিন সাগরে মাছ ধরতে যেতে না পেরে কষ্টে ছিলেন তিনি। এখন নিষিদ্ধ সময় শেষ হয়েছে। সুতরাং আর অভাব থাকবে না।
ট্রলার মালিক জসিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ব্যবসার ক্ষতি হলেও সরকারের দেওয়া নির্দেশ মানছেন বড় কিছুর আশায়। তিনি বলেন, সব প্রস্তুত করে সাগরে ট্রলার পাঠানো হচ্ছে। আল্লাহ সহায় হলে ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে ফিরে আসবে।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মাছ ব্যবসায়ী ফরহাদ জানান, দীর্ঘ ৬৫ দিন বেকার দিন কেটেছে তার। এখন থেকে আবার কর্মব্যস্ত জীবন শুরু হলো।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব মো. বদরুজ্জামান জানান, মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুতে ভালোভাবে নেয়নি জেলেরা। পরে ভালো ফলাফল পেয়ে উপকৃত হওয়ায় এখন আর সমস্যা হয় না। তারা আনন্দের সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখার ফলে সমুদ্রে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বেড়েছে, পাশাপাশি ইলিশ আহরণ ২.৮৮ লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন।
এই প্রসঙ্গে কক্সবাজার ২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক জানান, ৬৫ দিনের এই বন্ধের সময় বেকার জেলেদের সরকারের পক্ষ থেকে ৮৬ কেজি করে চাল সহায়তাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়। বন্ধের কারণে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়ার মানুষের জান-মাল রক্ষা পেয়েছে। মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে জেলেসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সন্তুষ্ট।
সারাবাংলা/আইই