সাংবাদিককে গালি দেওয়া আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য: হাইকোর্ট
২৪ জুলাই ২০২২ ১৩:০৩
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গালি দেওয়া খুবই আপত্তিকর, দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৪ জুলাই) অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ঢাকা পোস্ট’-এর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিকে গালি দেওয়ার বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ হাইকোর্টের নজরে আনেন।
এ বিষয়ে আদালত বলেন, “ঘটনার জন্য উনি (ইউএনও) দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ওনার ভাষা তো খুবই আপত্তিকর, এটা দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। কোনো ‘রং হেডেড’ পারসন ছাড়া এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে পারেন না।”
হাইকোর্ট আরও বলেন, ‘উনি যেভাবে বলেছেন সেটা কোনো ভাষা হতে পারে না। মাস্তানদের চেয়েও খারাপ ভাষায় কথা বলেছেন।’
এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তারা যদি কোনো অপরাধ করেন তাহলে আইন আছে, প্রেস কাউন্সিল আছে। কিন্তু এভাবে গালিগালাজ তো কেউ করতে পারেন না।’
গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তার অফিসিয়াল নম্বর থেকে ঢাকা পোস্টের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সাইদুল ফরহাদকে ফোন করেন। সে সময় সংবাদ প্রকাশের কারণ জানতে চেয়ে ফরহাদকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন ওই ইউএনও। পরে গালির ওই অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
পরে শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে হিলডাউন সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের উদ্যোগে কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরু ঢাকা পোস্টের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধির কাছে অকথ্য ভাষা ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরাও খুবই লজ্জিত। একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার মুখ থেকে এমন কটুবাক্য আশা করা যায় না। এ সময় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার আশ্বাসও দেন তিনি।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে