চবিতে ছাত্রী নিপীড়ন: গ্রেফতার ৫ জনের রিমান্ড আবেদন
২৪ জুলাই ২০২২ ১৭:৪৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের পর আপত্তিকর ভিডিও ধারণের মামলায় গ্রেফতার পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (২৪ জুলাই) চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমীন।
ওসি রুহুল আমীন সারাবাংলাকে জানান, র্যাবের গ্রেফতার করা পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে শনিবার দুপুরে থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতার আরেকজন সাইফুলকে শনিবার রাতে হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। তাকেও রোববার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আদালত মঙ্গলবার সময় নির্ধারণ করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী গত ১৭ জুলাই রাতে ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হন। মোটর সাইকেলে আসা কয়েকজন যুবক ছাত্রীর সঙ্গে থাকা তার বন্ধুকে আটকে রেখে তাকে যৌন নিপীড়নের পর বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় ২০ জুলাই ওই ছাত্রী বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেন।
ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। শুক্রবার রাতে র্যাব চারজনকে গ্রেফতার করে। শনিবার দুপুরে আরও একজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার পাঁচজন হল- মো. আজিম (২৩), নুর হোসেন শাওন (২২), নুরুল আবছার বাবু (২২), মাসুদ রানা (২২) এবং মো. সাইফুল (২৩)।
র্যাব জানিয়েছে, আজিম ঘটনার মূল নেতৃত্বদাতা এবং চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী। আজিম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ও নুরুল আবছার বাবু নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। নুর হোসেন শাওন হাটহাজারী কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান প্রথম বর্ষ ও মাসুদ একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সাইফুল পড়ালেখা করে না।
আজিমের বাবা আমির হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কর্মচারী। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। বাকি চারজনের বাবাও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মচারী এবং ক্যাম্পাসে পরিবার নিয়ে থাকেন।
গ্রেফতারের পর আজিম ও বাবুকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সারাবাংলা/আরডি/একে