Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডেপুটি স্পিকারের মরদেহ আসছে সকালে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুলাই ২০২২ ২২:১১

ঢাকা: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ দেশে আসছে আগামীকাল সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে।

এদিন এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ফজলে রাব্বীর মরদেহ হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।

ডেপুটি স্পিকারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় অবতরণের পর সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় ইদগাহ মাঠে ফজলে রাব্বীর প্রথম জানাজা হবে। এরপর তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বিকেল ৩টায় দ্বিতীয় জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন- ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই

ফজলে রাব্বী মিয়ার দাফনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। অন্যদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজাতে তার জানাজা আয়োজন করা হবে না।

এর আগে, শুক্রবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। প্রায় ৯ মাস ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ রাজনীতিক এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে। ১৯৫৮ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। ওই বছর আইয়ুব খান পাকিস্তানে মার্শাল ল’ চালু করেছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতা চাচার সঙ্গে তিনি মার্শাল ল’বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬২-৬৩ সালে শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেন।

১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফজলে রাব্বী মিয়া। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন। তবে ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

দশম সংসদে ফজলে রাব্বী মিয়া ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ সংসদেও একই দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া মরদেহ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর