চুরি হওয়া দামি ফোনগুলো পাওয়া গেল ময়লার ঝুড়িতে
২৫ জুলাই ২০২২ ১৫:১৪
ঢাকা: যমুনা ফিউচার পার্কের একটি দোকান থেকে কোনোরকম বাধা ছাড়াই নামিদামি মোবাইল ফোন চুরি করে একটি চোর চক্র। এরপর সেই ফোনগুলোর কিছু বিক্রি করে বসুন্ধরা মার্কেটের একটি দোকানে। আর কিছু ফোন রেখে দেয় মুদি দোকানের ময়লার ঝুড়িতে।
ডিবি গুলশান জোনের সদস্যরা অভিযোগের তদন্তে নেমে চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা জানায়, তারা মোবাইল ফোন চুরি করে বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকে। ডিবি পুলিশ অ্যাপেল, স্যামসাং ও সনি ব্রান্ডের ৫৫টি দামি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘চোররা এখন স্মার্ট হয়েছে। তারা স্মার্ট উপায়ে এখন চুরি করছে। আগে ঢাকা শহরে গুলিস্তানকেন্দ্রিক চোরাই মোবাইল কেনাবেচা হতো। এখন দেখা যাচ্ছে চোরাই দামি মোবাইলগুলো বসুন্ধরার মতো শপিংমলে বিক্রি হচ্ছে। চোরেরা নিজেও স্বীকার করেছেন যে তারা এখন স্মার্ট ওয়েতে সবকিছু করেন।’
গ্রেফতাররা জানায়, চুরি করা মোবাইল ফোনগুলোর আইএমই নম্বর নেই। ব্যবসায়ীরা লাগেজ পার্টি ও অবৈধপথে আনা ফোনগুলো বিক্রি করছিল। এ সব ফোন থেকে সরকারের কোনো আয় হয়নি।’
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আরও কোনো তথ্য পাওয়া গেলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে চোরাই মোবাইল বেচাকেনা করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বলব এসব চোরাই মোবাইল ফোনগুলো আপনারা কিনবেন না। চোরাই মোবাইল আপনারা না কিনলে চুরি ছিনতাই কমে যাবে। কারণ বেঁচতে না পারলে তখন আর চুরি ছিনতাই করবেন না। এতে অনেকটা চুরি ছিনতাই কমে আসবে।’
ডিবির গুলশান জোনের ডিসি মশিউর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যখন চোরকে ধরে অভিযানে যাই তখন দেখা যায়, খিলক্ষেতের একটি বাসায় চোর নাহিদ হোসেনের মায়ের মুদির দোকানে একটি ময়লার ঝুড়িতে পলিথিনে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে বেশিরভাগ মোবাইল। এছাড়া বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন অপর দুই চোর বসুন্ধরা মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে আগত ক্রেতাদের বিক্রির জন্য দেখাচ্ছিলেন।’
সারাবাংলা/ইউজে/একে