বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও সৌন্দর্য বর্ধনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবে চসিক
২৫ জুলাই ২০২২ ২০:২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো : জ্বালানি সাশ্রয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সব বিভাগে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিলবোর্ডে ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণ অর্ধেক করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া সৌন্দর্য বর্ধনের নামে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক।
সোমবার (২৫ জুলাই) সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে চসিকের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় বিভিন্ন বিভাগের প্রধান কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম সারাবাংলাকে বলেন, ‘চলমান প্রেক্ষাপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা মেয়র মহোদয়ের সভাপতিত্বে সভা করে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রত্যেক বিভাগকে এই সিদ্ধান্ত অবহিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মেয়র মহোদয় নগরীতে যেসব বিলবোর্ড এখন আছে সেগুলো চসিকের অনুমোদিত কি না সেটা খতিয়ে দেখতে বলেছেন। অনুমোদনহীন বিলবোর্ড উচ্ছেদ এবং অনুমোদিত বিলবোর্ডে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ অর্ধেক করার কথা বলা হয়েছে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে— সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে- নগরীতে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অবৈধ এবং সৌন্দর্য্য নষ্ট করছে এমন স্থাপনা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সৌন্দর্য্য বর্ধনের চুক্তি করা হয়েছে সেগুলোর মেয়াদ আছে কি না খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।
আবুল হাশেম বলেন, ‘সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে কতগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে সেটা আমরা যাচাই-বাছাই করে তালিকা করব। যেগুলো আসলেই প্রয়োজনীয় সেগুলোর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। বাকিগুলো বাতিল করা হবে। অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।’
এছাড়া জ্বালানি সাশ্রয়ে বিধি না মেনে চসিকের গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। পরিচ্ছন্ন বিভাগের জন্য নতুন কনটেইনার মোভার কেনার সিদ্ধান্তও হয়েছে চসিকের সভায়।
সভায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘করোনার ধকল সামলে না উঠতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সংকট তৈরী হয়েছে। বাংলাদেশেও এই সংকটের প্রভাব পড়েছে। এখন আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে ব্যয় সংকোচন এবং সাশ্রয়ী হওয়া সময়ের দাবি।’
নগরীর বাটালি হিলে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মোবারক আলী, মো. ইসমাইল, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুস সালাম মাসুম, আব্দুল বারেক, শাহেদ ইকবাল বাবু ও গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের এবং চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আকবর আলী, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের।
সারাবাংলা/আরডি/একে