ইসি’কে নজরদারিতে রাখার আহ্বান সিইসি’র
২৬ জুলাই ২০২২ ১৫:০১
ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমাদের উপর একটু আস্থা রাখুন। আস্থা রাখতে গিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখলে হবে না। আপনাদের নজরদারি থাকতে হবে। আমরা কি আসলেই সাধুপুরুষ না ভেতরে ভেতরে অসাধু। সেই জিনিসটা আপনারা যদি নজরদারি না রাখেন, তাহলে আপনারাও আপনাদের দায়িত্ব পালন করলেন না।’
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংলাপের অষ্টম দিনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় ইসি কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতান, আনিছুর রহমান ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব হুমায়ূন কবির খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, ‘আমাদের কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। কোনো কমপ্লেইন পেয়েছেন? সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানান, আমাদের কাছে পাঠান। নির্বাচনের সময় অনেকগুলো টেলিফোন থাকবে। ক্যামেরা দিয়ে হয়তো আমরা অনেকগুলো সেন্টার ওয়াচ করতে পারবো। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি তার কিছু মূল্য থাকা উচিত। একেবারে যে আমরা ডিগবাজি খেয়ে যাব, তা তো নয়। সেটি হওয়ার কথা নয়।’
ইভিএমে ভোট হলে কারচুপি হবে না, নিশ্চয়তা চায় বিকল্পধারা
নির্বাচন নির্বাচনের আইন অনুযায়ী হবে, সময় দেওয়া হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘ভোটাররা যাবেন, ভোট দিতে থাকবেন। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের অংশের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবো। পাশাপাশি আপনাদের (রাজনৈতিক দল) অনুরোধ থাকবে, আপনারাও কিছু দায়িত্ব নেবেন। দায়িত্ব নিয়ে অর্থশক্তি, পেশিশক্তি, ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করবেন। আমরা দায়িত্বটা শেয়ার করব।’
সিইসি আরও বলেন, ‘অর্থশক্তিকে আমরা কীভাবে সামাল দেব, আপনারা আমাকে একটা বুদ্ধি দেন। দেশে অর্থ বেড়েছে। আমাদের সবার বাড়িতে বস্তা বস্তা টাকা। বস্তা বস্তা অর্থ আমরা নির্বাচনে ব্যয় করি। এই অর্থ নিয়ন্ত্রণ করব কীভাবে? নির্বাচন কমিশনে দেখানো হয়, নির্বাচনে ৫ লাখ টাকা খরচ করেছে। তার বাইরে গিয়ে আমি যদি গোপনে ৫ কোটি টাকা খরচ করি, কীভাবে আপনি আমাকে ধরবেন বা আমি আপনাকে ধরব? এগুলোও সম্ভব যদি এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হয়।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে একটি অপসংস্কৃতি হয়ে গেছে। পয়সা ঢালা হচ্ছে, মাস্তান হায়ার হচ্ছে। প্রফেশনাল কিলারও হায়ার করতে খুব বেশি পয়সা লাগবে না। এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে আমাদের সবাইকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের
সারাবাংলা/জিএস/এমও