Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘চাহিদার বেশি বিদ্যুৎপ্ল্যান্ট স্থাপন করায় বর্তমান অচলাবস্থা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ জুলাই ২০২২ ১৮:২৩

ঢাকা: চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎপ্ল্যান্ট স্থাপনের ফলে বর্তমান ‘অচলাবস্থা’ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনেতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সোমবার (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সভায় বর্তমানে লোডশেডিং, বিদ্যুৎখাত ও জ্বালানি খাতের ভয়াবহ সংকটের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা মনে করে, সরকারের নিজস্ব ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থের জন্য পরিকল্পিতভাবে নিয়মনীতি বিসর্জন দিয়ে চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের সুযোগ প্রদানে ভয়াবহ দুর্নীতি এবং ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ প্রচুর অর্থ ব্যয়ের ফলে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এইসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ইনডেমনিটি আইন তৈরি করে নজিরবিহীন দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। বিশেষ আইনে স্থাপিত রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল ১৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র দুই/তিন বৎসরে বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও প্রয়োজন ছাড়াই তা এখনো চলমান আছে। বেশ কিছু সংখ্যক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন না করেও ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ বিপুল অর্থ নিয়ে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুৎ ছাড়াই তিন বছর সরকারকে ৫৪ হাজার কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে। সরকারের নিজস্ব ব্যবসায়ীদের পকেটে গেছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। গত এক যুগে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ গচ্ছা প্রায় ৮ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। বিদ্যুতের চাহিদা সঠিকভাবে নির্ধারণ না করেই চাহিদার অনেক বেশি পাওয়ার প্ল্যান্টের সাথে চুক্তি করে দুর্নীতিপরায়ণ ব্যবসায়ীদের লুটের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে রাষ্ট্রীয় দায়-দেনা ২ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। ২০২৪ সাল থেকে আগামী ৩০ বছরে সুদসহ এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে, যা জনগণের পকেট কেটে করা হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার লোডশেডিং শূন্য কোটায় নিয়ে আসায় উৎসব করেছে, আতশবাজি পুড়িয়ে। অথচ শহরে এখন দুই/তিন ঘণ্টা এবং গ্রামঞ্চলে পাঁচ/ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শিল্পে ও কৃষিতে উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির ওপর চরম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সমস্যাকে জটিলতর করেছে। দেশে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ না নিয়ে বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানির লক্ষ্যই হচ্ছে চুরি এবং নিজ দলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা। শুধুমাত্র লোভের কারণে আজকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অন্ধকারের পথে নিয়ে গিয়েছে সরকার।’

চাহিদা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদ্যুৎপ্ল্যান্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর