Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে আহ্বান ডিএমপি কমিশনারেরও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ জুলাই ২০২২ ০০:৩১

ঢাকা: দেশের জ্বালানি সংকট পরিস্থিতিতে কৃচ্ছ্রতাসাধনের পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এক অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের প্রতিও একই আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের স্বার্থে সবাইকে একযোগে ভূমিকা পালন করতে হবে। জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় আরও বেশি সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে গত জুন মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সভায় উপস্থিত সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার। বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির জন্য সরকার বা আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ দায়ী নয়। তবে বিপদে পড়েছে দেশ। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের স্বার্থে সবাইকে একযোগে ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে।

তিনি বলেন, এসি ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে। থানা ও পুলিশ লাইনসের ব্যারাকে ফ্যান ও লাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকারি গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে।

পুলিশ বাহিনী দিনরাত পরিশ্রম করলেও দুয়েকটি ঘটনার কারণেই এই বাহিনীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তাই পুলিশ সদস্যদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে শোভন আচরণ করার জন্য নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।

বর্তমানে বিদ্যুৎ রেশনিংয়ের জন্য এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করা হচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতিতেও চুরি-ছিনতাই বা অন্যান্য অপরাধ বেড়ে যাওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও সভায় বলেন শফিকুল ইসলাম। তারপরও এলাকাভিত্তিক টহল জোরদার করতে নির্দেশনা দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়। জুন মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী বিভাগ হয়েছে উত্তরা বিভাগ। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মেদ পাটওয়ারী। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন দক্ষিণখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস) মধ্যে প্রথম হয়েছেন পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) উদয় কুমার মন্ডল।

এছাড়া শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে চকবাজার মডেল থানার এসআই নুর উদ্দীন-১ ও পল্লবী থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই সাইফুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে মতিঝিল থানার এএসআই মো. হেলাল উদ্দিন ও পল্লবী থানার এএসআই হরিদাস রায়। অস্ত্র উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন বিমানবন্দর থানার এসআই আব্দুল লতিফ মিয়া। বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই নুর উদ্দীন। মাদক উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই তারিক উর রহমান শুভ এবং চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন ভাষানটেক থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. খোরশেদ আলম।

এর বাইরে ৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের টিম লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হলেন গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. শাহাদাত হোসেন সুমা। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের টিম লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. শাহাদাত হোসেন সুমা। অজ্ঞান/মলম পার্টি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হলেন গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শামসুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তারিকুল ইসলাম মাসুদ। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন একই জোনের টিআই মো. হোসেন জাকারিয়া মেনন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট হয়েছেন যৌথভাবে মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আব্দুল কাদের ও রমনা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মফিজুর রহমান।

এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগসহ ১৬টি বিভাগ ও বিভিন্ন পদ মর্যাদার ১৪৫ জন কর্মকর্তা ও ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) সৈয়দ নুরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ও উপপুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

জ্বালানি সাশ্রয় ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর