ঢাকা: মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের নিবন্ধন দেওয়ার প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৭ জুলাই) নিবন্ধনের জন্য আবেদন নিষ্পত্তি না করার নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিট আর না চালানোর কথা জানানোর পর বিচারপতি মো.খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল ইসলাম।
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর মানবাধিকার সংগঠন অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়। অধিকারের নিবন্ধন নবায়ন করতে ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু এই আবেদেনে সাড়া না পেয়ে নিবন্ধন নবায়নে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করে।
শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৩ মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে ২০১৪ সালে করা ওই আবেদন মঞ্জুরে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং আইন অনুসারে নিবন্ধন দেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এদিকে চলতি বছরের ৫ জুন এনজিও বিষয়ক ব্যুরো অধিকারের আবেদন নামঞ্জুর করে। তবে অধিকার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি সম্পুরক আবেদন করে।
আজ এ রিটের বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল।
তবে এদিন অধিকারের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া আদালতকে রিটটি না চালানোর কথা জানান। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন না মঞ্জুর করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ৫ জুনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৫ জুনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৪ জুন দায়ের করা সম্পূরক আবেদনটি উপস্থাপন না করার কথা আদালতকে জানান হয়।
এরপর আদালত রিটটি খারিজ (ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন) করে দেন। একইসঙ্গে উপস্থাপন না করায় ১৪ জুনের সম্পূরক আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে আদেশ দেন।