ঘুষের মামলায় ওয়াসার ফিল্ড অফিসারের ৪ বছরের কারাদণ্ড
২৭ জুলাই ২০২২ ১৬:৪৬
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর দায়ের করা ঘুষ গ্রহণের মামলায় ওয়াসার ফিল্ড অফিসার খোন্দকার জাহিদুর রহমানের ৪ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
বুধবার (২৭ জুলাই) ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদলতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে আসামির ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং যা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় আব্দুল মোতালেব আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়- গোল্ডেন কোস্ট ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল খায়ের ঢাকার উত্তরখানস্থ দোবাদিয়া সাইনবোর্ড এলাকায় ৩৪৭৬/২৭২৭ দাগের প্রায় ২১ কাঠা জমি ও উক্ত জমির ওপর নির্মিত শেড ২০১৫ সাল আর কে গার্মেন্টসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আসাদ উল্লাহ দিদার এর কাছে ভাড়া প্রদান করেছেন। আসাদ উল্লাহ দিদার সেখানে কে. আরাকে নামীয় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি পরিচালনা করছেন। ওই জমিতে গার্মেন্টস শেড নির্মাণ কাজ শুরুর সময়ে নভেম্বর/২০১৩ মাসে ওয়াসা থেকে পানির লাইন গ্রহণ করা হয় এবং বিল পরিশোধ করা হয়। কিন্তু শেড নির্মাণ অবস্থায়ই ওয়াসার লাইনে পানি না পাওয়ার কারণে ২০১৫ সালে ওই জমিতে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়।
গোল্ডেন কোস্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল খায়ের ওই জমিতে স্থাপিত উল্লিখিত গভীর নলকূপটির বিল জারিপূর্বক নিয়মিতকরণের জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বরাবর গত ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করেন। ওই কাজের জন্য ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আশেক ছাদেক চৌধুরীর ওপর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি এ বিষয়ে আসামি খোন্দকার জাহিদুর রহমানের সঙ্গে আলাপ করলে সে ওই কাজের জন্য ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
অন্যথায় বড় অংকের টাকা জরিমানা করার হুমকি প্রদান করেন এবং উক্ত ফ্যাক্টরিতে চলমান ওয়াসার সংযোগটি বিছিন্নকরণের ভয় দেখান। যা তিনি আবুল খায়েরকে অবহিত করলে পরবর্তী সময়ে অনেক আলাপ আলোচনার পরে খোন্দকার জাহিদুর রহমান তার দাবিকৃত ঘুষের পরিমাণ দুই লাখ টাকা নির্ধারণ করেন। এরপর এ বিষয়ে দুদকে লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ফাঁদ মামলা করে ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আসামি খোন্দকার জাহিদুর রহমান অফিস কক্ষে বসে দুই লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় আটক হয়।
এই ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৬ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তের দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ আসামির বিরুদ্ধে একই বছর ৩০ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এদিকে রায়ে আদালত জব্দ থাকা ঘুষের দুই লাখ টাকা অভিযোগকারী আশেক ছাদেক চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
সারাবাংলা/এআই/একে