ইভিএমে নৌকার ভোট ধানের শীষে চলে যেতে পারে: জাকের পার্টি
২৭ জুলাই ২০২২ ১৭:১৯
ঢাকা : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম‘র পরিবর্তে ব্লক চেইন টেকনোলজি এবং ই-ভোটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে ভোট দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাকের পার্টি। দলটি বলেছে, ইভিএমে ভোট দেওয়া নিরাপদ নয়। কারণ, মনে রাখতে হবে, সবাই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি নয়। যারা ইভিএম টেকনোলজি তৈরির জড়িত, তাদের ভেতরে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কেউ থাকতে পারে। আর সে যদি টেকনোলজির সুক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটিয়ে দেয়, তাহলে নৌকায় ভোট দিলে তা ধানের শীষে বা অন্য প্রতীকে যেয়ে গণনা হবে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই ইভিএম পুরো নিরাপদ নয়।
বুধবার (২৭ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে জাকের পার্টির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। জাকের পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দারের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। অন্যদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে সংলাপে ইসি কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব হুমায়ন কবির খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
জাকের পার্টির লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আগামী নির্বাচনে ভোট দান প্রক্রিয়ায় ইভিএমের কথা বলা হচ্ছে। বলতেই হয়, ইভিএম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়। যারা ইভিএম প্রক্রিয়ার সাথে কাজ করছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ। কিন্তু ইভিএম পুরো নিশ্ছিদ্র বা নিরাপদ নয়।
জাকের পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দার বলেন, নির্বাচনকে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখতে ব্লকচেইন প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ই-ভোটিং প্রক্রিয়ায় ঘরে বসে ভোট প্রদানের ব্যাবস্থা এখনই গ্রহণ করা উচিৎ। তা না হলে, ভোটদান কে কেন্দ্র করে এ ধরনের হানাহানি, মারামারি ও দুঃখজনক হত্যাকাণ্ড ঘটতে থাকবে।
জাকের পার্টি তাদের প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলের সদস্য ও সমর্থকদের ডাটাবেজ তৈরির কথা উল্লেখ করে বলে, নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক নিবন্ধিত দলগুলোকে নিজ নিজ দলের সদস্য ও সমর্থক ভোটারদের ছবি ও সই সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরির করতে বলবে নির্বাচন কমিশন। দলগুলো তাদের ডাটাবেজ তৈরি করে ইসিতে জমা দিবে। নির্বাচনের ছয় মাস আগে এই ডাটাবেজ অ্যাপের মাধ্যমে ইসি তা জনগণের কাছে প্রকাশ করবে। ফলে দলগুলোর ভোট ব্যাংক সম্পর্কে আগে থেকেই জানা যাবে।
জাকের পার্টি লিখিত প্রস্তাবে আরও বলা হয়, অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচনের ছয় মাস আগে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সরকারি প্রচার মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলের সমঅধিকার নিশ্চিতকরণের কথাও বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম