ইউসিবির ইসি চেয়ারম্যানকে হয়রানির অভিযোগ
২৭ জুলাই ২০২২ ১৮:৩৪
ঢাকা: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ইসি চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গুমের নাটক সাজিয়ে আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে ফাঁসানোরও চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তচক্র।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। চট্টগ্রামে যার সি.আর মামলা নং ২১৭০/২০২০ (কোতোয়ালী), তারিখ ০৯/১২/২০২০। ধারা-৫০০/৫০১/৫০২ সঃ বিঃ। পিবিআইয়ের অনুসন্ধানে এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে দাখিল করা প্রতিবেদনে সংবাদ অসত্য বলে প্রমাণ পেয়েছে।
সূত্রমতে, আনিসুজ্জামান চৌধুরীর বাবা মরহুম আকতারুজ্জামান ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক ও প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। তার বড় ভাই সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাতীয় সংসদের সদস্য এবং ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন।
মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে আনিসুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অসংলগ্ন অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলাটি বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২য় আদালত চট্টগ্রাম, অনুসন্ধানের জন্য পুলিশ সুপার, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোকে নির্দেশ প্রদান করে।
পিবিআই’র অনুসন্ধানে এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে দাখিল করা প্রতিবেদনে সংবাদ অসত্য বলে প্রমাণ পেয়েছে।
আনিসুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে আম মোক্তার কাজল কান্তি দে’র দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার ৩ নম্বর বিবাদী গোলাম সরোয়ার তৈরি করা একটি সংবাদ ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রতিদিন অনলাইনে সংবাদ প্রচার কর হয় যার শিরোনাম ছিল ‘চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীর জায়গায় ভূমি মন্ত্রীর ভাইয়ের কুদৃষ্টি’।
ওই সংবাদে বলা হয়— ‘চট্টগ্রাম নগরের সাার্জন রোডের জেএস কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ভবন নির্মাণ প্রকল্পের জায়গা অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এমনকি সেখানে নির্মাণ কাজ করতে গেলে হত্যা করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন আনিসুজ্জামান, এমনটা দাবি করা হয়েছে সংবাদে।’
তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তেও ওই সংবাদের অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের তদন্তে উঠে আসে, মামলার ১ ও ২ নম্বর বিবাদী ২০২০ সালের ২৪ অক্টোর বাদী আনিসুজ্জামান চৌধুরীর মানহানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করেন।
পিবিআইসহ বিভিন্ন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ঘেটে দেখা যায়, ওই জমির প্রকৃত মালিক মোহাম্মদ মেজবাউদ্দৌলা ২০১১ সালের ২৭ জুন তারিখে জেএস কনাস্ট্রাকশন লিমিটেডের সঙ্গে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জেএস কনস্ট্রাকশন বরাবর একটি পাওয়ার অব এটর্নি প্রদান করেন। কিন্তু জেএস কনস্ট্রাকশন চুক্তি অনুযায়ী ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত কোন কাজ না করে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেন।
এরপরও ওই জমি দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন-২০১২ মতে পূর্বে প্রদত্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাতিল করে নোটিশ দেন জমির মালিক মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দৌলা। ২০১১ সাল থেকে অপেক্ষার পর ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২৭ জুন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রত্যাহার করেন।
এরপর জমির মালিক মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দৌলা চৌধুরী ২০২০ সালের ৮ অক্টোর আনিসুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রী ইমরানা জামান চৌধুরীর কাছে ওই জমি বিক্রির পরে দখল হস্তান্তর করেন। অর্থাৎ, অন্যের জমি দখলের চেষ্টা নয়, নিজ অর্থে কেনা জমিরই দখল বুঝে নিয়েছে আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এ ছাড়াও তাকে ফাঁদ পেতে বেকায়দায় ফেলতে সংশ্লিষ্ট মহলের আরও নানাবিধ চক্রান্তে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে