Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অর্থনৈতিক চাপ থাকলেও বাংলাদেশের ঝুঁকি কম: মুডিস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৮ জুলাই ২০২২ ২১:১৫

ঢাকা: বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি হলেও তা কোনো ঝুঁকির কারণ নয় বলে জানিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিস। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থা বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের ঝুঁকি কম।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ধকলে থাকা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে আরও শ্লথ করেছে ছয় মাস ধরে ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট। এমন বাস্তবতায় আর্থিক সংকটের মধ্যে থাকা দক্ষিণ এশীয় দেশ শ্রীলঙ্কা এরইমধ্যে দেউলিয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের আরেক দেশ পাকিস্তানেও সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বাংলাদেশেও এমন ঝুঁকির কথা বলছেন।

বিজ্ঞাপন

তবে বাংলাদেশের তেমন ঝুঁকি কম বলেই মনে করছেন মুডিসের সিঙ্গাপুর শাখার রাষ্ট্রীয় (বিনিয়োগ) বিশ্লেষক ক্যামিলে শ্যঁতা। তিনি বলছেন, ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্প্রতি উচ্চ স্তর থেকে নেমে এলেও বাহ্যিক দুর্বলতার সূচকে বাংলাদেশ অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত।’

আমদানি ব্যয় বেড়ে চলার মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক ঝুঁকি হ্রাস এবং সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল—আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বুধবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে ঋণ চাইলেও দেশে অর্থনৈতিক সংকটের মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।’

ব্যয় সাশ্রয়ে এরইমধ্যে সরকার একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে রেশনিং করার পাশাপাশি কৃচ্ছ্রতা সাধনে মন্ত্রিসভার সদস্য, আমলাতন্ত্রসহ দেশের সকলের প্রতি অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সব বিষয়ে মুডিসের বিশেষজ্ঞ ক্যামিলে শ্যঁতার অনুমান, ‘রেমিট্যান্সের পরিমাণ ও রপ্তানি চাহিদা কম থাকার পাশাপাশি খাদ্য ও জ্বালানির চড়া দামের কারণে বাংলাদেশের চলতি হিসাবের ঘাটতির আরও অবনতি হতে পারে। কারণ বাংলাদেশে একদিকে এ সব চাপ তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক বন্যাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে দেশটি।’

বিজ্ঞাপন

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত ৪০ বিলিয়ন বা চার হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

এক বছর আগেই অর্থ্যাৎ গত বছরের জুলাই মাসেই সব রেকর্ড ভেঙে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ হয়েছিল।

রফতানি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলারের মজুদে চাপ বাড়ছিল। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয়েছে এবং সে কারণে রিজার্ভ কমেছে।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর সদস্য।এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যে সব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর এই আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্যে এখন রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে।

সারাবাংলা/একে

বাংলাদেশ মুডিস শ্রীলংকা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর