নদী দূষণ: আমিনবাজারে ৭৫% ঘাট শ্রমিকের হাতে কাজ নেই
২৯ জুলাই ২০২২ ০০:০১
ঢাকা: তুরাগ নদী দূষণের ফলে আমিনবাজার এলাকার শতকরা ৭৫ শতাংশ শ্রমিকের হাতে এখন কাজ নেই। দূষণমূক্ত নদী ঘাট শ্রমিকের অধিকার-আমিনবাজারে ঘাট শ্রমিকদের সভায় এই দাবি করেন আমিনবাজার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী লাল।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে আমিনবাজার ল্যান্ডিং ষ্টেশনঘাটে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। তুরাগ নদীকে দূষণ ও দখলমুক্ত করার প্রত্যয়ে আয়োজিত এই কমিউনিটি সভা যৌথভাবে আয়োজন করে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম। সভাটি সঞ্চালনা করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়ক মো. কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মির্জা শওকত আলী। সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মাদ জয়নাল আবেদিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ ওয়াজেদ আলী। বক্তব্য রাখেন নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইবনুল সাইদ রানা, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মাহাদি হাসান, আমিনবাজার ক্লাব এবং সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রাহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মির্জা শওকত আলী বলেন, নদী রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে, নদী দূষণবিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।
তুরাগ নদী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রাহমান বলেন, আমরা নদীকে ধ্বংস করার মাধ্যমে নিজেদের ধ্বংসের পথ তৈরি করেছি। আর এই ধ্বংসের পথ তৈরি হয়েছে সঠিক পরিকল্পনার অভাবে। তাই যার যার যায়গা থেকে নদী বাঁচানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে নদী না বাঁচলে ঘাট বাঁচবে না, ঘাট না বাঁচলে শ্রমিক বাঁচানো যাবে না।
ইবনুল সাইদ রানা বলেন, নদীর সুস্থতা শ্রমিকের শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত। দূষণমুক্ত নদী ও ঘাট শ্রমিকের অধিকার, তাই ঘাট শ্রমিকদের দূষণমুক্ত নদীর দাবিতে আন্দোলন করতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ ওয়াজেদ আলী বলেন, শুধু সভা করলেই হবে না, এলাকার জনগণকে, সচেতন হতে হবে, একত্রিত হতে হবে এবং নদী দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।
সারাবাংলা/আরএফ/একেএম