Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বন্ধে ইবিতে ঘটছে চুরির ঘটনা, নেই কার্যকর উদ্যোগ

ইবি করেসপন্ডেন্ট
২৯ জুলাই ২০২২ ০৯:৫৬

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক এলাকা ও হলে ঘটেছে চুরির ঘটনা। ইদে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকাকালে এসব চুরির ঘটনা ঘটছে। বন্ধে সবাই বাড়িতে থাকায় সময়টাকে কাজে লাগায় চোর চক্র। তবে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত কর্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ফ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সময় চোর ধরা পরলেও বয়স ছোটসহ বিভিন্ন তদবিরের কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। চোরদের অনেকেই কিশোর ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

ক্যাম্পাসে বারবার চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের মাঝে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন তারা। তাদের দাবি, কয়েকদিন পর পর ক্যাম্পাসে চুরির খবর শুনতে হচ্ছে। অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও তাদের শনাক্ত করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আবাসিক ভবন যমুনায় একটি চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গত ৬ জুলাই বিষয়টি জানাজানি হয়। ভবনের নীচতলায় বেলকুনির গ্রিল কেটে ভেন্টিলেটর ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে চোর। এরপর ওই কক্ষ থেকে ২০-২৫ হাজার নগদ টাকা, তিন ভরি সোনার গহনাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।

গত ৩ জুলাই ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চোর সন্দেহে দুই কিশোরকে আটক করা হয়। পরে তাদের ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়। তাদের নামে মামলা হওয়ার আগে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি উপস্থিত হয়। এসময় তাদের উপস্থিতিতে আটককৃত ওই দুইজনের বয়স কমের অজুহাতে মামলা না দিয়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

চলতি বছরের জুনে দুই দফায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও কেন্দ্রীয় মসজিদের জানালার কাঁচ ভেঙে চারটি বড় স্ট্যান্ড ফ্যান এবং ইদুল ফিতরের ছুটিতে বঙ্গবন্ধু হল থেকে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা মূল্যের সিঁড়ির ১০টি পাত চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া ক্রিকেট মাঠ থেকে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের লক্ষাধিক টাকা মূল্যের খেলার সামগ্রীসহ লাইট সেট চুরি হয়।

এর আগে করোনাকালীন বন্ধে বিভিন্ন আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনে ১০টিরও বেশি চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন এলাকায় এক ছাত্রীর মোবাইল ও ক্যাম্পাসে এক বৃদ্ধের ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। এসব ঘটনার কোনোটিরই সুরাহা হয়নি।

শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল, পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। অসংখ্য চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এলেও কর্তৃপক্ষের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ক্যাম্পাসের সর্বত্র লাইটিং এবং সিটিটিভি ক্যামেরা নিশ্চিত করাসহ নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

সারাবাংলা/এনএস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর