সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে পদযাত্রা
২৯ জুলাই ২০২২ ১৯:৫৯
ঢাকা: সড়কে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে রাজধানীতে পদযাত্রা করেছে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ)। এই পদযাত্রা থেকে সড়ক নিরাপদ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের চতুর্থ বার্ষিকীতে রাজধানীর খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডের পদচারী সেতুর নিচ থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রা এসে থামে এমইএস বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন কুর্মিটোলা এলাকায়।
যে জায়গায় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই বাসচাপায় নিহত হয়েছিল শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়া। সেখানে আজ একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়।
পদযাত্রায় কিছু শিক্ষার্থী সাদা কাপড় পরে ‘সড়কে লাশের মিছিল’ লেখা ব্যানার নিয়ে অংশ নেন। পদযাত্রায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে ‘বি অ্যালার্ট, রোড ইন বিডি ইজ নট সেফ’, ‘গণপরিবহন বৃদ্ধি কর’, ‘জেব্রা ক্রসিংয়ের সংখ্যা বাড়াও’, ‘যানজট মুক্ত সড়ক চাই’, ‘আইন প্রয়োগে সরকার ব্যর্থ কেন?’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।
শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবি-দাওয়ার কথা জানিয়ে স্লোগানও দেয়। তাদের স্লোগানগুলোর মধ্যে ছিল—‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘সড়কে ছাত্র মরে—প্রশাসন কী করে?’, ‘পুলিশের গাড়িতে ছাত্র মরে—প্রশাসন কী করে?’, ‘প্রশাসন করে কি খায়-দায়-ঘুমায় না কি?’, ‘যে হাত ছাত্র মারে, সে হাত ভেঙে দাও’ইত্যাদি।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা আন্দোলনে নেমে ৯ দফা দাবি দিয়েছিলাম। সেই আন্দোলনের চার বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো আমাদের দাবিগুলোর একটিও বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই বারবার আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে।’
শাহীদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলিস্তানে পুলিশের রেকার গাড়ির চাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। যে পুলিশের দায়িত্ব নাগরিকদের রক্ষা করা, সেই পুলিশের গাড়ির চাপায় যদি শিক্ষার্থী নিহত হয়, তাহলে তারা কার কাছে বিচার চাইবে? এই দায় সরকারের, প্রশাসনের। সরকার–প্রশাসন পদক্ষেপ নিলে আর কোনো শিক্ষার্থী সড়কে নিহত হতো না।’
সারাবাংলা/ইউজে/একে