গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন ইভিএমে হলে অংশ নেবে না জাপা
৩১ জুলাই ২০২২ ১২:৫৯
ঢাকা: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হলে ওই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
রোববার (৩১ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘যে কোনো ধরনের নির্বাচনে আমরা ইভিএমের বিরোধী। কারণ জনগণ এতে অভ্যস্ত নন।’
জাপা মহাসচিব আরও বলেন, ‘আগামী মাসে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গাইবান্ধার এই উপ-নির্বাচন অবশ্যই ব্যালটে করতে হবে। এ নির্বাচন ইভিএমে হলে তাতে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে কি না ভেবে দেখবে।’
তিনি বলেন, ‘ইভিএমে কী নির্বাচন করব। আমি ভোট করব, আমার নিজেরই তো ইভিএমের প্রতি আস্থা নেই।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে উদ্দেশ্য করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করেন। যেন জনগণ আপনাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি এলাকায় ব্যালটবাক্সগুলো রাতে না পাঠিয়ে ভোটের দিন সকালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তাহলে অনেকাংশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান বলেন, ‘আমরা ৪০০ এর মতো নির্বাচন ইভিএমে করেছি। এই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।’
জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘দয়া করে ইভিএমের পক্ষে যুক্তি দেখাবেন না। আপনারা কী চাইছেন তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লা, বাঁশখালীর নির্বাচনে কী হয়েছে তা আমরা এরইমধ্যে প্রমাণ পেয়েছি।’
ইসির সংলাপে জাতীর পার্টির ১৩ সদস্যর প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা এমপি, সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ফকরুল ইমাম এমপি, মীর আবদুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ভুইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। গত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ইসির সংলাপে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইসির এই সংলাপ বর্জন করেছে। ১১ দিনব্যাপী ইসির সংলাপে ৩৯ দলের মধ্যে নয়টি দল সংলাপ বর্জন করেছে। ইতোমধ্যেই ২৬টি দল সংলাপে অংশ নিযেছে। এছাড়া দু’টি দল সময় পেছানোর জন্য ইসির কাছে অনুরোধ করেছে।
সারাবাংলা/জিএস/একে