৪ দফা দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমাবেশ
৩১ জুলাই ২০২২ ১৭:১৮
ঢাকা: চার দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ।
রোববার (৩১ জুলাই) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।
চার দফা দাবি হলো: একাধিক জাতীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চলমান ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কোর্সকে হ্রাস করে ৩ বছরে রূপান্তরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অযৌক্তিক ও আত্মঘাতী উদ্যোগ অবিলম্বে বন্ধ করা; বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)-২০২০ ও ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ এর জনস্বার্থবিরোধী সংজ্ঞা ও ধারা-উপধারা সংশোধনপূর্বক গেজেট প্রকাশ করা; প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদান, পদোন্নতির কোটা ৫০% এ উন্নীতকরণ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পেট্রোবাংলা ও বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ারিং টিম কনসেপ্ট অনুযায়ী অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন, বিদ্যুৎ কোম্পানিসমূহে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান এবং প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যূনতম বেতন ও পদবি নির্ধারণ করা; পলিটেকনিক ও টিএসসিতে শিক্ষক স্বল্পতা, শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব, ওয়ার্কশপ সংকটের সমাধানসহ শিক্ষকদের পদোন্নতি, দ্বিতীয় শিফটের সম্মানিভাতা প্রদান, STEP শিক্ষকদের নিয়মিতকরণ ও বেতন ভাতা প্রদান, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ভাতা বৃদ্ধি এবং ২৯ টি ইমার্জিং টেকনোলজি বেকার ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
সমাবেশে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. ফজলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব মির্জা এ টি এম গোলাম মোস্তফা, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর সভাপতি এ কে এম এ হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আব্দুল মোতালেব।
আইডিইব’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদ বলেন, ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য কারিগরি পেশাজীবীদের ন্যায় চাকরির প্রাথমিক নিযুক্তিতে ১টি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ৪/৫টি স্মারকপত্রের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে অব্যাহতভাবে নির্দেশনার পরও দীর্ঘ ১০ বছরেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক।’
সাধারণ শামসুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করে বরং কারিগরি আমলাদের প্ররোচনায় একের পর এক ডিপ্লোমাবিদ্বেষী কালাকানুন প্রণয়ন করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজে জনগণকে জিম্মি করে ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অধিকারহরণের জনস্বার্থবিরোধী ধারা সংবলিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোর্ড (বিএনবিসি)’র গেজেট প্রকাশ। প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ থাকার পরেও বিএনবিসিতে জনস্বার্থ বিরোধী ধারা উপধারা সংযোজন হয়েছে। এ ধারা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।’
ঘোষণাপত্রে বলা হয়— গত ১০ বছরেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সমস্যাদির সমাধান হয়নি। ফলে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত গণপ্রকৌশলীখ্যাত দেশের প্রকৌশল কর্মব্যবস্থার উন্নয়ন-উৎপাদনের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমে নিয়োজিত ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ, হতাশা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যার স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ যে কোনো সময় প্রকৌশল কর্মব্যবস্থা ও শিক্ষায় তীব্র সংকট সৃষ্টি করতে পারে মর্মে এই সমাবেশ আশঙ্কা প্রকাশ করছে।
সারাবাংলা/একে