Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত শতাধিক, নিহত ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩১ জুলাই ২০২২ ১৮:০৮

ভোলা: বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অন্তত শতাধিক আহত হয়েছেন। এছাড়াও এ ঘটনায় মো. আব্দুর রহিম নামে একজন মারা গেছেন। মৃত আব্দুর রহিম ভোলার সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য বলে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে।

রোববার (৩১ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, সারাদেশের মত বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গ্যাস, তেল, বিদ্যুৎ লোডশেডিং এর প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপির প্রতিবাদ সভা হয়। সভা শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভোলার সদর রোডে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা বাধা দেয়। এবং বিনা উসকানিতে পুলিশ সদস্যরা হামলা চালায়। গুলি ছোড়ে, টিয়ার শেল গ্যাস নিক্ষেপ, রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে। পুলিশের গুলিতে ভোলা সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের হামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, এরমধ্যে ৩০ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়ে ভোলা ও বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।

অপরদিকে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পুলিশের সঙ্গে সংর্ঘষ করা বিএনপির পূর্ব পরিকল্পনা ছিলো। এজন্য তারা পুলিশের ওপর বিনা কারণে ইট-পাটকেল, কাচের বোতল, লাঠিসোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় ভোলা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আরমান হোসেনসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ আত্মরক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৩০ রাউন্ড গ্যাস সেল এবং ১৬৫ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ফায়ার করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয়।

ভোলা সদর হাসপাতালের আরএমও নিরুপম সরকার জানান, ভোলা সদর হাসপাতালে একজন গুলিবৃদ্ধ নিহতের লাশ রয়েছে। এছাড়াও ২৫-৩০ জন আহত ও গুলিবৃদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সারাবাংলা/একেএম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর