কুবি’তে শেখ হাসিনা হলের উদ্বোধন
৩১ জুলাই ২০২২ ২১:০৯
কুবি: দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলের উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ছাত্রী হল।
রোববার (৩১ জুলাই) ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এই হলটি উদ্বোধন করেন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট হলের সংখ্যা ৫টিতে দাঁড়াল। এর মধ্যে তিনটি ছেলেদের ও দুইটি মেয়েদের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান।
রোববার সকাল ১১টায় নাম ফলক উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর বেলুন ও পায়রা ওড়ানো হয়। পবিত্র কোরআন, গীতা পাঠ ও জাতীয় সঙ্গীতের পর মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক নিশাত নিগারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হলটির প্রথম প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই হলটি হবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রোল মডেল। শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা দীর্ঘায়িত না করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করতে পারি সেই চেষ্টা করব। এজন্য আমি এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এই হলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে করা হয়েছে। এই হলটি হবে একটি রোল মডেল। এজন্য যা সুবিধা লাগে আমরা দেব এবং ছাত্রীদের সহযোগিতাও কামনা করছি। আশাকরি তোমরা তোমাদের এই হলকে সুশৃঙ্খল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখবে।’
উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার নামে একটি হল করতে পারেনি, সেটা করে দেখিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা ক্লাসে শুধু থিউরি পড়াই। আর সেই থিউরির প্রয়োগ হয় আবাসিক হলগুলোতে। এখানেই শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমের থিউরির প্র্যাকটিক্যালি প্রয়োগ করে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘২০১৪ সালের এই প্রকল্প অনেক বাঁধার সম্মুখীন হয়ে এই হল উদ্বোধন হচ্ছে ২০২২ সালে। বাধা পেরিয়ে উদ্বোধনে যাদের অবদান তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই হলের কাজটা দেড়ি হচ্ছে বারবার, তাই আমরা ঠিকাদারদের ডেকে এনে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছি। এরপর থেকে তাদের আমরা সবসময় খোঁজ-খবর নিয়ে হলেও ছাত্রীদের সুবিধার্থে দ্রুততার সঙ্গে হলের কাজ শেষ করিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই হলটিকে অন্যান্য হলগুলো অনুসরণ করবে। তোমরা যেটা দাবি বলো, আমরা সেটাকে তোমাদের প্রয়োজন মনে করি। আর সেই হিসেবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও পড়ালেখার মান উন্নয়ন করা। এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে হবে।’
এ সময় উপাচার্য তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসকল শিক্ষক ভাল গবেষণা প্রকাশ করেছে তাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে প্রশংসা করেন এবং অন্য সবাইকে গবেষণার প্রতি উৎসাহিত করেন।
পরিশেষে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতীকী চাবি হস্তান্তর করা হয়। এরপর কেক কাটার মাধ্যমে শেষ হয় কুবির দ্বিতীয় ছাত্রী হল শেখ হাসিনা হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
সারাবাংলা/এনএস