বিকাশ পরিবহনে শ্লীলতাহানি: চালকের সহকারী কারাগারে

ঢাকা: বিকাশ পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এক শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির মামলায় চালকের পর তার সহকারী কাওসার আহম্মেদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১ আগস্ট) দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করে লালবাগ থানার মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা আজিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আছিবুজ্জামান আছিব। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, ২৯ জুলাই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৮ জুলাই বিকেলে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে কাওসার আহম্মেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযোগে বলা হয়, ২৪ জুলাই ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ধানমন্ডি থেকে আজিমপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিকাশ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসে উঠে কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে এক পর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে হয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ভুক্তভোগী অনুভব করেন, তার শরীরে কেউ যেন হাত দিয়েছে। তাৎক্ষণিক তিনি তাকিয়ে দেখেন বাসে কোনো যাত্রী নেই এবং তার পাশের সিটে বাসটির হেলপার বসা।

তখন ওই ছাত্রী বিপদ আঁচ করতে পেরে বাসের হেলপারকে তার পাশ থেকে ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টা করেন। তখন ভুক্তভোগী সিট থেকে দাঁড়িয়ে নামার চেষ্টা করলে হেলপার তাকে পেছন থেকে এক হাতে মুখ চেপে ধরেন। ওই ছাত্রী নিজেকে বাঁচানোর জন্য সর্বশক্তি দিয়ে হেলপারের কাছ থেকে ছুটে চালককে চিৎকার করে বাস থামাতে বলেন। কিন্তু চালক তখন বাস না থামিয়ে দ্রুতগতিতে ইডেন কলেজের সামনে দিয়ে আজিমপুরের দিকে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে বাসটি কিছুটা গতি কমালে ওই ছাত্রী লাফ দিয়ে বাস থেকে নেমে আত্মরক্ষা করেন। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনাটি ফেসবুকে শেয়ার করে একটি পোস্ট দেন।

এরপর লালবাগ থানা পুলিশ প্রাথমিক অনুসন্ধান করে ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করে তথ্য সংগ্রহ করে। তাৎক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা ও আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বিকাশ পরিবহনের বাসটি শনাক্ত করা হয়। জড়িত বিকাশ পরিবহনের বাসচালক মো. মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতার হয় বাসটির হেলপার।

সারাবাংলা/এআই/একেএম