ঝিনাইদহে শত্রুতার জেরে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ
১ আগস্ট ২০২২ ১৯:১৫
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ১৫ জন। রোববার রাতে শৈলকুপা উপজেলার ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কামারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিন্দু অধ্যুষিত ওই গ্রামের বিজয়ী ইউপি সদস্য রতন কুণ্ডু ও পরাজিত সদস্য লক্ষীকান্তের সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিল। কয়েকদিন আগে লক্ষীকান্তের সমর্থক সুশান্ত মণ্ডল পার্শ্ববর্তী রত্নাট গ্রাম থেকে কয়েকজন যুবককে নিয়ে কামারিয়া গ্রামে চায়ের দোকানে মহড়া দেয়। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের তাড়িয়ে দেয়। এরই জের ধরে রাতে তারা ওই গ্রামে হামলা চালিয়ে ৬টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। মারধরে আহত হয় নারীসহ অন্তত ১৫ জন।
আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
কামারিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী সুনীল বলেন, ‘কে বা কারা পেছন থেকে এসে আমার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে কে আঘাত করলো আমি দেখতে পাইনি।’
ধলহরাচন্দ্র ইউপি মেম্বর রতন কুণ্ডু বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী বগুড়া ইউনিয়নের ফরিদ মুন্সীর নেতৃত্বে লোকজন এসে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাট করে পালিয়ে যায়।’
বগুড়া ইউপি মেম্বর ফরিদ মুন্সী বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে কামারিয়া গ্রামে কোনো হামলা হয়নি। ওরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়ে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমি এ ঘটনায় জড়িত নই।’
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, কামারিয়া গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।’
সারাবাংলা/একে