শিক্ষিকার বাসায় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ
২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:৫৯ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:০৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মনির বাসায় প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল ১০ বছর বয়সী সানজিদা। পরে ওই শিক্ষিকার কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি ওই শিক্ষিকার স্বামী মোরশেদ আলম তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করে।
গত ২১ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৪ টায় যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগ এলাকায় শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মনির বাসায় প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল সানজিদা। এর পর সন্ধ্যা ৬টায় দিকে শিক্ষিকার বাসার পঞ্চম তলার বেডরুমে ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
স্বামী মোরশেদ আলমের সঙ্গে শিক্ষিকা ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
সানজিদার পরিবারের দাবি সানজিদার স্বামী পরিকল্পিতভাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। তবে ওই শিক্ষিকার দাবি, খেলার ছলে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে।
পরিবারের দাবি এই ঘটনায় পুলিশ হত্যা মামলা না নেওয়ায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১১/২০১৮ তারিখ ২১/৪/১৮
সানজিদার বাবার নাম শাহজাহান পেশায় পিকআপ ভ্যান চালক ও মা জান্নাতি। তারা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবি করেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে।
গতকাল মিডফোর্ট হাসপাতালে ময়না তদন্ত হয়ে গ্রামের বাড়িতে দাফন হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন তিনি নিজেই স্পটে গিয়েছিলেন। ঘটনার সময় শিক্ষিকা আরেক রুমে তার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। উনার স্বামী ঘুমিয়ে ছিলেন। ভিক্টিমের সঙ্গে লামিয়া নামে আরেকজন ছাত্রীও ছিল। সেও পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে কিছু তথ্য দিয়েছে। তার শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত ছিল না। প্রাথমিকভাবে হ্যাংগিং সুইসাইড বলে সন্দেহ হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
সারাবাংলা/ইউজে/এমআই