‘বঙ্গবন্ধুর খুনি ও দোসররা এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে’
২ আগস্ট ২০২২ ১৮:৪২
নারায়ণগঞ্জ: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জাতি কলঙ্ক মুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও তাদের দোসররা এখনো দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।”
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ স্থানে আলাদাভাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে তার সোনার বাংলার স্বপ্নকেও খুন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেত। তিনি জীবিত থাকলে বাংলাদেশ তার আরাধ্য সোনার বাংলা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত।”
মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বছরের পর বছর কারাবরণ করেছেন। পৃথিবীতে অনেক বড় বড় নেতা আসবেন, যাবেন, কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা কোনো দিন আসবে না। তার হৃদয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছাড়া আর অন্য কিছু ছিল না। তিনি শুধু এশিয়া নয়, সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন। দুটি স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। এক. দেশের স্বাধীনতা, অন্যটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাকি কাজ বাস্তবায়ন করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। এখনো দেশে একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।”
রূপগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান তারেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আনছার আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দফতর সম্পাদক আব্দুল আজিজ, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হারেজ, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক ওবায়দুল মজিদ জুয়েল, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তুহিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমন হাসান খোকন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুশফিকুর রহমান রিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি মাহববুর রহমান মেহের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাঈম ভুঁইয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন নাদিম, উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শিলা রানী পাল, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম চৌধুরী অপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি লাকি আক্তার, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আরিফ খান জয়সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সারাবাংলা/একেএম