নরসিংদীতে ডোবা থেকে রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার
৪ আগস্ট ২০২২ ২২:২৩
নরসিংদী: নরসিংদীর মনোহরদীতে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে স্বপন মিয়া (৩৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ডোমনমারা গ্রামের রেনু মাস্টারের বাড়ির পাশের এটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত স্বপন কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বীর গাঁও এলাকার আফতাব মিয়ার ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন এবং মাঝে মাঝে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন।
রেনু মাস্টারের ছেলে আল আমিন জানান, বুধবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি তার মুরগির সেডে রাখা পেঁপে বাজারে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি সেডের পাশে পাকা রাস্তার দিকে গোংরানোর শব্দ শুনতে পান। রাস্তায় এসে একটি খালি অটোরিকশায় তিনটি মোবাইল এবং কিছুটা দূরে একটি লুঙ্গি পড়ে থাকতে দেখেন। অন্ধকারে কোনো লোকজন দেখতে না পেয়ে তিনি বাড়ির ভেতর থেকে টর্চলাইট নিয়ে এসে দেখতে পান অটোরিকশা থেকে ৪/৫ গজ দূরে বীরগাঁও গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (২০) ও অজ্ঞাত একজন মিলে স্বপনের দুই হাত চেপে ধরে বসে আছে।
এক পর্যায়ে জাকির আল-আমিনের কাছে এসে তার পা চেপে ধরে বলে, ‘ভাই আপনি জান, স্বপন আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে। আপনার কোনো সমস্যা নাই।’- এই বলে বার বার তার টর্চলাইটের মুখ চেপে আলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে থাকে সে। এক পর্যায়ে তাকে ঠেলতে ঠেলতে তার বাড়ির দিকে পাঠিয়ে দিয়ে স্বপনকে টানতে টানতে পুকুর পাড় দিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। তখন আল আমিন স্থানীয় লোকজনকে ডাকতে যায় এবং এসে আর কাউকেই দেখতে পায় না। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী সারারাত সেখানে এবং আশপাশের এলাকায় খুঁজে কাউকে পায়নি। এর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে ৬০/৭০ গজ দূরের একটি ডোবায় একটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয়রা মরদেহটিকে স্বপনের বলে চিহ্নিত করে।
রামপুর পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে শোনা মাত্রই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অনেক খোঁজর পরও আমরা কাউকে পাইনি। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডোবা থেকে স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে। আসামি জাকিরসহ অজ্ঞাত যুবককে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
সারাবাংলা/পিটিএম