বন্যা পরবর্তী নদী ভাঙনে দিশেহারা সুনামগঞ্জের মানুষ
৫ আগস্ট ২০২২ ১১:০৭
সুনামগঞ্জ: বন্যা পরবর্তী সময়ে সুনামগঞ্জে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙন, এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। একে একে ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়ক, গ্রামীণ জনপদ, হাট-বাজার, মসজিদ ও কবরস্থান। ফলে নদী ভাঙনের কবলের পরে দিশেহারা সুনামগঞ্জের মানুষ।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত ১৬ জুন সুনামগঞ্জে ২য় দফা ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সারাদেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জ যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। বানের পানি গতি এতটা ভয়াবহ ছিল যে প্রায় ৪৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতি হয়। বর্তমানে জেলার নদ,নদীর পানি কমলে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়। এতে নতুন করে আরেক দুর্যোগে পড়েছে সুনামগঞ্জবাসী।
সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভপুর উপজেলার সুলেকাবাদ ইউনিয়নের মুনিপুরি গ্রাম। গ্রামটিতে বসবাস ৫ শতাধিক পরিবারের। কিন্তু বন্যা পরবর্তী সময়ে গ্রামটি দেখা দিয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙন। এর মধ্যে ৬০টিরও বেশি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এখন কোথায় আছে জানেন না এই গ্রামের মানুষ।
শুধু মুনিপুরি গ্রাম নয়, জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, নলজুর, বটেরখাল, মহাশিং ও পুরাতন সুরমা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙছে নদীর পাড়। জেলার জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ সদর, দিরাই, শাল্লা, ছাতক, দোয়ারা, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলার ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, গ্রামীণ জনপদ, মসজিদ ও কবরস্থান এর মধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে গেছে। ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নদী ভাঙন।
ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষরা জানান, বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। সরকার দ্রুত নদী ভাঙন রোধে পদক্ষেপ না নিলে আমরা নিঃশ্বাস হয়ে যাব।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যেসব এলাকায় প্রকট আকারে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে সেসব এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে বালু মিশ্রিত বস্তা ফেলা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এনএস