Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কয়লার প্রথম চালান রামপালে, উৎপাদন শুরু অক্টোবরে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ আগস্ট ২০২২ ১২:৩৮

ঢাকা: কয়লার সংস্থান না করতে পারায় কাজ শেষ করেও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যাচ্ছিল না রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের। দুই দফা পেছানো হয় উদ্বোধনের তারিখ। অবশেষে উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা খুলনায় এসে পৌঁছেছে। ফলে আগামী অক্টোবর থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকালে বাংলাদেশের পতাকাবাহী তিনটি লাইটার জাহাজ কয়লার প্রথম চালান নিয়ে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঘাটে পৌঁছায়। এরপর জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করা হয়। এ সময় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে, স্থানীয় ইউওনওসহ প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ডেপুটি ম্যানেজার (জনসংযোগ) জানান, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা চলে এসেছে। এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে কয়লা আসতে থাকবে। ফলে আগামী আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে রামপালের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করা হবে। আর অক্টোবরে শুরু হবে মূল উৎপাদন।

জানা যায়, গত ২০ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার তানজুম ক্যাম্ফা বন্দর থেকে ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘আকিজ হেরিটেজ’ বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা করে। গত ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখানে ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন করে কয়লা ভাগ করে তা তিনটি লাইটার জাহাজে তোলা হয়। বাকি ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আকিজ হেরিটেজ মোংলা বন্দরে নিয়ে আসে। যা খালাসের অপেক্ষায়।

বিজ্ঞাপন

সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলোর একটি রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সাপমারি- কাটাখালী ও কৈর্গদাশকাঠী এলাকায় ১ হাজার ৮৩৪ একর জমির ওপরে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১০ সালে। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ইকুইটি বিনিয়োগ সমান ভাগে ধরে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট রামপাল বাস্তবায়ন করা হয়।

এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। কাজ শেষ করে ২০২০ সালেই উৎপাদনের কথা থাকলে তা করোনার জন্য পিছিয়ে যায়। পরে কয়লা না পাওয়ায় ২০২১ সালেও উৎপাদন সম্ভব হয়নি। এবার কয়লার ব্যবস্থা হওয়ায় শিগগিরই উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।

বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের প্রভাবে বাংলাদেশের তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও উৎপাদন কমিয়ে লোডশেডিংয়েল মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে আসা জরুরি বলে মনে করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

এদিকে সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পশুর নদীর তীর ঘেঁষে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধিতা করে আসছিলেন পরিবেশবাদী ও অধিকার কর্মীরা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ক্ষতি রোধের বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর