মীরসরাই ট্র্যাজেডি: আরও এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু
৫ আগস্ট ২০২২ ১৯:১৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় এ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হল।
দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পর শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
মৃত আয়াতুল ইসলাম (১৬) হাটহাজারী উপজেলার কে এস নজু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। বাড়ি একই উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের খন্দকিয়া গ্রামে।
চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আয়াতুল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ (শুক্রবার) দুপুরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
গত ২৯ জুলাই দুপুরে মীরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে রেললাইনে উঠে পড়া একটি মাইক্রোবাসকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ১১ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত ছয় জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাইক্রোবাসের একজন মাত্র আরোহী অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হন।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত ১১ জনের সবাই মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। তাদের সবাই হাটহাজারী উপজেলার চিকনদণ্ডি ইউনিয়নের খন্দকিয়া ও আশপাশের গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে ৯ জন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র। খন্দকিয়া যুগীরহাট এলাকার আরএনজে কোচিং সেন্টারের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে চার শিক্ষক পিকনিকের উদ্দেশে মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায় গিয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার অধীন সীতাকুণ্ড পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে গেটম্যানের দায়িত্বে থাকা সাদ্দাম হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৩৮ (ক), ৩০৪(ক) ও ৪২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
দুর্ঘটনার পরপরই রেলওয়ে পুলিশ সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল। মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ৩০ জুলাই বিকেলে সাদ্দামকে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। রেল কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
সারাবাংলা/আরডি/এমও