ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪, অকটেনে ৪৬ ও পেট্রলে ৪৪ টাকা বাড়ল
৫ আগস্ট ২০২২ ২২:২৮
ঢাকা: ভোক্তা পর্যায়ে (ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে) ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা আর পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে লাগবে ১১৪ টাকা। এ ছাড়া এক লিটার অকটেনের জন্য ভোক্তাকে দিতে হবে ১৩৫ টাকা আর প্রতি লিটার পেট্রল ভোক্তা পর্যায়ে কিনতে হবে ১৩০ টাকায়।
আগে ডিজেল কেরোসিনের দাম ছিল ৮০ টাকা, অকটেনের লিটার ছিল ৮৯ টাকা ও পেট্রলের দাম ছিল ৮৬ টাকা।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের নতুন দর জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আজ রাত ১২টার পর থেকে নতুন এই দর কার্যকর হবে।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়তি থাকায় দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞপনে বলা হয়, বৈশ্বিক জ্বালানি মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)-এ পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রল এর মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায় নিম্নোক্তভাবে পুনঃনির্ধারণ করা হলো।
এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করেনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃবিবেচনা করা হবে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে। ভারত ২২ মে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে। যা এখনও বহাল রয়েছে। এই মূল্য বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। (১ রুপি = গড় ১.২৩ টাকা)। অর্থাৎ বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্রল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকেও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন গত ছয় মাসে ( ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে ৮ হাজার ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে ব্যারেল ৮০ ডলারে উন্নীত হওয়ার সময় গত বছর ২০২১ সালের নভেম্বরে ডিজেল ও অকটেনে লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। সে ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও জ্বালানির দাম বাড়ালো সরকার।
সারাবাংলা/জেআর/একে