ভোটাধিকারের দাবিতে জোর লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান সিপিবি’র
৫ আগস্ট ২০২২ ২৩:৪৭
ঢাকা: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র জাতীয় পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বলা হয়, চলমান দুঃশাসনের অবসান ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে গণআন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সভায় দুঃশাসনের অবসান ও ভোটাধিকারের দাবিতে জোর লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সারাদেশে পার্টির নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আগামী নভেম্বরে সিপিবি এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় সমাবেশ করবে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) মুক্তি ভবনে সিপিবি সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রাজনৈতিক রিপোর্ট ও করণীয় বিষয়ক রিপোর্ট উত্থাপন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। সাংগঠনিক কার্যক্রমের রিপোর্ট উত্থাপন করেন পার্টির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা।
সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কমরেড সহিদুল্লাহ চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। আলোচনায় অংশ নেন আব্দুস সামাদ মিয়া, নূরে আলম বিপ্লব, মো. আফতাব হোসেন (কাজল), আবু সায়েম, খন্দকার লুৎফর রহমান, প্রশান্ত দাস হরি, কুলসুম বেগম, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, অরুণ কুমার শীল, মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, অ্যাড. বিমল চন্দ্র শীল, ওয়াহেদুজ্জামান মতি, নির্মল চৌধুরী, দিলীপ কুমার পাইক, রেবেকা সরেন, মো. আবু হোসেন, জামশেদ আনোয়ার তপন, দেওয়ান মো. বদিউজ্জামান, ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম, সাদেকুর রহমান শামীম, অধ্যাপক আবুল ইসলাম সিকদার, মোজাহারুল হক, মো. জাহাঙ্গীর, সাজেদুল ইসলাম সাজু, সিরাজুম মুনির, আমিনুল ফরিদ, আব্দুর রহমান রুমি, আবুল হোসেন, আখতারুল ইসলাম রাজু, জাহাঙ্গীর হোসেন, পীযুষ চক্রবর্তী, ইসমাইল হোসেন, শেখ আব্দুল হান্নান, অশোক দেব জয়, সুশান্ত ভাওয়াল, শিবনাথ চক্রবর্তী, অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র মজুমদার, ম. হেলাল উদ্দিন, শেখ বাহার মজুমদার, মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, নলিনী সরকার, দিলীপ দাস, সালফী আল ফাত্তাহ, শফিকুল ইসলাম, শামসুজ্জামান হীরা, সুকান্ত শফি চৌধুরী, হামিদা খাতুন, শ্রীকান্ত মাহাতো, কামাল উদ্দিন, মুনিরুজ্জামান শানু, আবুল হাশিম কবির, অমৃত বড়ুয়া, মো. রমজানুজ্জামান, কামাল হোসেন, আকতার হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস।
সভায় বলা হয়, মুক্তবাজারের নামে লুটপাটের অর্থনীতির ধারায় চলমান সরকারের নীতি দেশে সংকট বাড়িয়ে তুলছে। মানুষের মুক্তির পথ দূরে থাক স্বস্তির পথ দেখতে পারছে না। মানুষের ক্ষোভ দমনে ভয়ের রাজত্ব চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এতে করে সংকট আরও বাড়ছে। এই ধারা চলতে থাকলে সংকট আরও তীব্র হবে।
জাতীয় পরিষদের সভায় বলা হয়, ভোট ও ভাতের দাবিতে সামনের কাতারে থেকে লড়াই করতে হবে। এই লক্ষ্যে সকল স্তরের কর্মী-সমর্থকদের সক্রিয় করে শ্রেণি আন্দোলন, গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে স্থানীয় ও জাতীয় ইস্যুকে সামনে আনতে হবে। পরিকল্পিতভাবে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় প্রণীত কর্মসূচিতে স্থানীয় জনগণের দাবি যুক্ত করে এগুতে হবে।
সভায় বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে বাম জোটের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অন্যান্য বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তিকে এই জোটে সমবেত করতে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
সভায় আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০২২ এর মধ্যে জেলা-উপজেলা-শাখা নেতৃত্বের সাংগঠনিক কর্মশালা, আগস্ট-সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত জেলা-উপজেলা সদর এবং আগামী নভেম্বরে জাতীয় সমাবেশের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নিতে সারা দেশের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও
জাতীয় পরিষদ সভা জোর লড়াই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ভোটাধিকার সিপিবি